চট্টগ্রামে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কম, দাম নিয়ে অসন্তোষ

চট্টগ্রাম
মাছ বাজারে ক্রেতা সমাগম
এখন জনপদে
0

চট্টগ্রামের বাজারে মাছের চাহিদার বড় একটি অংশ সামুদ্রিক মাছ থেকে পূরণ হয়। তবে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় নগরীতে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, আকারভেদে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের দাম নিয়ে অসন্তোষ আছে ক্রেতাদের।

চট্টগ্রামে মাছের চাহিদার ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ সামুদ্রিক মাছে পূরণ হয়। কিন্তু সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় হিমাগারের মাছেই চাহিদা মিটছে।

আজ (শুক্রবার, ৯ মে) নগরের কর্ণফুলী বাজারে দেখা যায়, রূপচাঁদা দেশি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০, যা গত মাসে ছিল ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা; সুরমা ৬৫০-৬৮০, যা গত মাসে ছিল ৬০০; পোয়া ৪৮০ গত মাসে ৪০০-৪২০; কোরাল ৭০০-৭৫০, যা গত মাসে ৭২০ থেকে ৭৩০ টাকা ছিল। এ ছাড়া, আধা কেজির ইলিশ হাজার টাকায় আর দেড় কেজির ইলিশ ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সামুদ্রিক মাছের যোগান কমায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন মাছের বাজারে পুকুর এবং হাওর অঞ্চলের মাছের সরবরাহ ও চাহিদা বেড়েছে। এতে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দামও বেড়েছে। তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙাশ ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই-কাতল, মৃগেল আকারভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪২০ থেকে ৫০০ টাকা এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এনএইচ