বিজিবি পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মধ্যরাতে পাটগ্রাম উপজেলার রহমতপুরে গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক নারী ও শিশুসহ ২০ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়। তাদের মধ্যে ১১ জন নারী ও সাত শিশু ও দু’জন পুরুষ রয়েছেন। পরে বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয়দের দাবি, গেল মধ্যরাতে মোট ৩৫ থেকে ৪০ জনকে পুশ ইন করার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে প্রথমে ১১ জনকে আটক করে বিজিবি। পরে স্থানীয়রা আরো দুই দফায় ৯ জনকে আটক করে ক্যাম্পে জমা দেয়। এভাবে অনেকে সীমান্ত পার হয়েই আত্মগোপনে রয়েছে বলেও ধারণা স্থানীয়দের।
এছাড়া বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ঠাকুরগাঁও এর বৈরচুনা বিওপির সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তর থেকে ৬৩ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ সদস্যরা দু’জন বাংলাদেশি নারী নাগরিককে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশ ইন করে।
এ সময় কর্তব্যরত বিজিবি টহল দল স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করে। এর কিছুক্ষণ পর রাত ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে দিনাজপুরের রামচন্দ্রপুর সীমান্ত পিলার বরাবর ভারতের অভ্যন্তর থেকে ৬৩ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের সদস্যরা আরো দু’জন পুরুষ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশ ইন করে। এ ঘটনাতেও কর্তব্যরত বিজিবি টহল দল তাদের বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন নড়াইল জেলার নড়াইল সদর থানার শেখহাটি বাজার ইউনিয়নের ডহর শেখহাটি গ্রামের মো. বেল্লাল মোল্লার ছেলে মো. রাসেল মোল্লা, নড়াইল জেলার নড়াইল সদর থানার শেখহাটি বাজার ইউনিয়নের ডহর শেখহাটি গ্রামের মো. বেল্লাল মোল্লার ছেলে রিফাত মোল্লা (১৬),সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর থানার ধুলিহর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী সরদারের মেয়ে মনোয়ারা খাতুন (৬৩), যশোর জেলার শার্শা থানার পাঁচ কায়বা ইউনিয়নের বাইকোলা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী মোসা. রুপালি খাতুন (৪৫) ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর সীমান্তে আটককৃত চারজন জানান, প্রায় ৫ থেকে ১০ বছর আগে দালালের মাধ্যমে যশোরের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে কাজের সন্ধানে গুজরাটে গিয়েছিলেন তারা। প্রায় এক মাস আগে গুজরাট পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছিল। আটককৃতদের দাবি প্রায় ১৫০ জনকে বিমানযোগে কলকাতায় ও বাসযোগে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সঠিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদেরকে দিনাজপুর জেলার বিরল এবং ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।