এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন। আজ দুপুরে কাছারি বাড়ি পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা।
ঘটনার শুরু হয় গত রোববার (৮ জুন)। সেদিন ঈদের ছুটিতে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসেন এক দর্শনার্থী। এসময় কাছারি বাড়ির গেটের এক কর্মচারীর সঙ্গে ওই দর্শনার্থীর বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা মঙ্গলবার (১০ জুন) শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। পরে উত্তেজিত জনতা কাছারি বাড়িতে প্রবেশ করে অডিটোরিয়ামে দরজা, জানালা, অফিস রুমসহ বেশ কিছু জায়গায় ভাঙচুর চালায়। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ ও পরিদর্শন অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এতে দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা পরিদর্শন করতে না পেরে ফিরে যায়। তবে শুক্রবার থেকে আবারও কাছারি বাড়ি খুলে দেয়ায় দর্শনার্থীদের পদচারণায় আবারও মুখরিত হয়ে উঠে কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণ।
কাছারি বাড়িতে নিরাপত্তাজনিত কারণেই দুদিন দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করা হয় বলে জানান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সেখ কামাল হোসেন। আজ থেকে খুলে দেয়ায় কাছারি বাড়ির স্বাভাবিক কার্যক্রম আগের মতো চলবে বলে জানান তিনি।
আর এই ঘটনা সঠিক কারণ অনুসন্ধানে দুটি তদন্ত কমিটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
কাছারি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।