মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালে সোনারগাঁয়ের বারদী এলাকার আমিরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে একই এলাকার সুলতানা আক্তার শান্তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। পরে তারা বন্দর উপজেলার রাজবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকেন। তবে বিয়ের পর থেকে দু’জনের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া হতো।
এর জের ধরে ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাতে শান্তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুতা দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে স্বামী আমিরুল ইসলাম বাবু। পরে শান্তার লাশ কম্বল দিয়ে মুঁড়িয়ে গুমের চেষ্টা করে। ২৯ ডিসেম্বর সকালে শান্তার লাশ উদ্ধার হলে তার বাবা আব্দুল করিম মোল্লা বাদী হয়ে ওইদিনই বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামি আমিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জাকির জানান, আদালত এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আসামি আমিরুল ইসলাম বাবুকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।