গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুলাউড়া (সার্কেল) মো. আজমল হোসেন।
তবে গ্রেপ্তারের পর থানায় উপস্থিত হয়ে মামলার বাদী মো. তারেক মিয়া জানান, চেয়ারম্যান শেলু এই ঘটনায় জড়িত নন। তারা গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেন এবং মামলা তাঁর নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু এএসপি অনড় থাকায় দুপক্ষের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। শেলুর গ্রেপ্তারে ক্ষোভ জানিয়ে তার আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী থানায় জড়ো হন। তাকে মৌলভীবাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন।
বাদী তারেক মিয়া বলেন, ‘হামলার মূল হোতারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে, অথচ নির্দোষদের ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ এ মামলাকে বাণিজ্যের হাতিয়ার বানিয়েছে।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৬ জুলাই এবং ৩ ও ৪ আগস্ট জুড়ী শহরে কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি চলাকালে ৩ আগস্ট একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে বাঁধা দেয়। একপর্যায়ে হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়। পরে ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচিসহ বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৬৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গত ২৬ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী তারেক মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুলাউড়া (সার্কেল) মো. আজমল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’