গত বছরের শুরুর দিকেও কানাডার বিভিন্ন বিপণীবিতানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের যোগান ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিল চাহিদাও তুঙ্গে। আগস্টে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কমতে থাকে রপ্তানি। তখন থেকে ভাটা পড়ে লাল সবুজের পণ্যে।
মাঝে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হলেও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার কিছু সময় পরে, নতুন করে ৩৫ শতাংশ শুল্কের গ্যাঁড়াকলে পড়ে বাংলাদেশ। এতে ওয়ালমার্টসহ বিভিন্ন মার্কিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে পোশাক নেয়া স্থগিত করে। যার প্রভাব আবারও বাজারে পড়তে শুরু করেছে। কারণ, অতিরিক্ত খরচ ওয়ালমার্ট কর্তৃপক্ষ বহন করবে না।
ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের ভালো লাগা কাজ করতো যে বাংলাদেশি পণ্য আমরা ব্যবহার করছি। এটা আমাদের মনের আপেক্ষিক ব্যাপার যে আমাদের দেশটাকে আমরা ভালোবাসি। সরকারের কাছে আমার আহ্বান এটি আমাদের দেশের একটি শিল্প। এ শিল্প আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য সরকার যেন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
এরইমধ্যে আরও কিছু ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ক্রয়াদেশ স্থগিত করায় আগামীতে বাজার হারানোর শঙ্কায় বাংলাদেশ। ওয়ালমার্ট ও বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, আগে যে তাকগুলোতে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য ছিল এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ার পণ্য।
কানাডা প্রবাসী কাজল রায়হান বলেন, ‘পোশাক শিল্পে ট্যাক্সের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে আমরা আগের মতো এদেশে বাংলাদেশি পোশাক কিনতে পারি না। শুধু দেখে চলে আসতে হয়।’
এককভাবে যুক্তরাষ্ট্র দেশিয় তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। বিদায়ী অর্থবছরে দেশটিতে প্রায় সাড়ে আট বিলিয়ন বা ৮৭৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। আর কানাডার বাজারে রপ্তানি হয় প্রায় ১৩০ কোটি ডলারের পোশাক। ইউএস ইন্টারন্যাশনাল কমিশনের তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন অর্থাৎ ৩৩৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে।