বাজেটের হিসাব-নিকাশ সাধারণ মানুষ কতটা বোঝেন?

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট
বাজেট
অর্থনীতি
1

বাজেট দেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সাধারণ মানুষেরা কতটুকুই-বা বোঝেন বাজেটের হিসাব-নিকাশ। চাহিদা-যোগান-ঘাটতি-ভর্তুতি আর আমদানি-রপ্তানির মতো জটিল বিষয় এড়িয়ে তাদের আগ্রহ পণ্যের দাম বাড়া-কমার দিকে। বরাবরের মতো এবারও দাম বাড়া-কমার ফর্দটা ছোট নয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেটে আসছে কর কাঠামোর বড় পরিবর্তন। আমদানি শুল্ক যেমন পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে, তেমনি সম্পূরক শুল্কেও আসছে পরিবর্তন। অনেক পণ্যে নতুন করে শুল্ক বসতে পারে, আবার কিছু পণ্যে কমানো হতে পারে। স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতেই এমন উদ্যোগ।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিকজাত হোম ও কিচেন ওয়্যার, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যের বর্তমান ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে। বাড়তে পারে ফ্রিজ ও এসির দাম। এ দুটি পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে বর্তমানে ভ্যাট দিতে হয় সাড়ে ৭ ভাগ। আসছে বাজেটে তা দ্বিগুণ হতে পারে।

মোবাইল ফোন ও ব্লেডের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট যথাক্রমে ২ থেকে আড়াই শতাংশ ও ৭ শতাংশ হতে পারে। বাড়তে পারে দেশিয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ভ্যাট।

আরো পড়ুন:

বাড়ার তালিকায় আরো আছে বিদেশি লিপস্টিক, ফেসওয়াশ, বিদেশি চকলেট ও খেলনার মতো পণ্য। এসব পণ্যে শুল্ক বাড়তে পারে দুই থেকে আড়াই গুন পর্যন্ত।

বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি বাল্বে ১০ শতাংশ, কীটপতঙ্গ মারার উপকরণ আমদানিতে ১৫ শতাংশ, সিমেন্টের মতো পণ্যে বাড়তে পারে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক। এছাড়াও স্ক্রু, নাট বোল্টের করভার ৩৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮৯.৩২ শতাংশ করা হতে পারে। মার্বেল ও গ্রানাইট বোল্টারের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হতে পারে ৪৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও বাড়তে পারে ব্যাটারিচালিত রিকশার মোটরের কাস্টমস শুল্ক, সিগারেটের পেপার, তামাকবীজ, সয়াবিন মিল ও উড়োজাহাজের কাস্টমস শুল্ক।

আরো পড়ুন:

প্রতি মেট্রিক টনে চিনির শুল্কায়ন মূল্য ৫০০ টাকা কমতে পারে। কমার তালিকায় আরো আছে জ্বালানি তেল, বাটার, লবণ, কম ফ্যাটযুক্ত সয়াবিন তেল, বিদেশি জুস ও পশুখাদ্যের দাম।

সরবরাহ পর্যায়ে আইসক্রিমের সম্পূরক শুল্ক কমানো হতে পারে ৫ শতাংশ। ১৬ থেকে ৪০ আসনবিশিষ্ট বাস আমদানিতে ৫ শতাংশ ও মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক কমতে পারে ১০ শতাংশ।

আরো পড়ুন:

ক্যানসার, কিডনি ও রক্তনালির রোগের ওষুধ প্রস্তুতকারকদের জন্য অতিরিক্ত ৭৯ পণ্য শুল্কমুক্ত করা হতে পারে ,কমতে পারে দেশীয় কাগজ, কালির দাম। ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে ছাড় দেয়া হতে পারে এলএনজি আমদানিতে।

ইস্পাতশিল্পের কাঁচামাল, দেশি সফটওয়্যার রপ্তানি ও হিমাগারের যন্ত্রপাতির ওপর শুল্ক মওকুফ করার পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সেজু