ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় সীমান্তে ভিড়, দ্বৈত নাগরিকদের দেশে ফেরায় জটিলতা

ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিকদের পরস্পরের দেশ ত্যাগের শেষদিন ছিল শুক্রবার
বিদেশে এখন
0

ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিকদের পরস্পরের দেশত্যাগের শেষদিন ছিল শুক্রবার (২৫ এপ্রিল)। যা ঘিরে সীমান্ত ক্রসিংগুলোয় ছিল অসংখ্য মানুষের সমাগম। যদিও দ্বৈত নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়া ক্ষেত্রে তৈরি হয় জটিলতা। এদিকে কারতারপুর করিডোর বন্ধের শঙ্কায় দিন পার করছেন দুই দেশের লাখো শিখ ধর্মাবলম্বী।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর বেশ কিছু পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নেয় দুই দেশ। এর মধ্যে ভিসা স্থগিতের পাশাপাশি রয়েছে অপর দেশের নাগরিকদের দেশ ত্যাগের নির্দেশনা।

শুক্রবার শেষ হয়েছে দেশ ত্যাগের সময়সীমা। শেষ মুহূর্তে সীমান্ত ক্রসিংগুলোয় লক্ষ্য করা গেছে উপচে পড়া ভিড়। বিদায়বেলায় সীমান্তের দুই প্রান্তে তৈরি হয় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি।

নাগরিকদের একজন বলেন, ‘আমি বুঝি না কেনো এমন হামলা হয়। এমন বিষয়ের পুনরাবৃত্তি চাই না। সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।’

আরেকজন বলেন, ‘১০ থেকে ১২ দিন এখানে আত্মীয়দের সঙ্গে ছিলাম। যদিও এটি খুবই কম সময়। এখন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ভারতে ফিরে যাচ্ছি।’

গেল ৩ দিনে নিজ দেশে ফিরেছেন কয়েকশ ভারতীয় ও পাকিস্তানি নাগরিক। যদিও অনেক দ্বৈত নাগরিককে আটকে দেয়া হয় আটারি ওয়াগাহ বর্ডারে। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশে ফেরত নিতে সরকারের কাছে আবেদন জানান ভুক্তভোগীরা।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের নাগরিকদের একজন বলেন, ‘আমার সন্তানরা পাকিস্তানের নাগরিক। তাহলে আমাকে কেনো পাকিস্তানে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না? সন্তানরা আমাকে ছাড়া কীভাবে থাকবে? কোনো সরকার সন্তানকে মা থেকে আলাদা করতে পারে না।’

আঞ্চলিক উত্তেজনায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিখ সম্প্রদায়ের জনগণ। সীমান্তের দুই প্রান্তের পাঞ্জাবে রয়েছে শিখদের বিভিন্ন তীর্থস্থান। কারতারপুর করিডোর চালু থাকায় এখনো তীর্থস্থানগুলোয় প্রবেশের সুবিধা থাকলেও শঙ্কা রয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে করিডোর বন্ধ করতে পারে ভারত।

ভিসা স্থগিত করায় বিপাকে পড়েছেন রাজস্থানে অবস্থানরত পাকিস্তানি শ্রমিকরা। উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যটির শুধু জয়সলমীরেই প্রায় ৬ হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী পাকিস্তানি নাগরিকের বাস।

যাদের অধিকাংশই দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় দেশটিতে এসে গড়েছেন আবাস। তাই সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার জন্য মোদি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা।

পাকিস্তানি শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই পাকিস্তানে ফিরে যেতে চাইনা। আমরা এখানেই থাকতে চাই। এটাই আমার দেশ।’

আরেকজন বলেন, ‘আমরা ধর্মঘট করতেও প্রস্তুত আছি। তবে আমাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠাবেন না। আমরা ভারতীয় আর ভারতেই থাকতে চাই।’

পেহেলগামে হামলায় নিহতদের স্মরণে জুম্মার নামাজে শেষে ছিল বিশেষ মোনাজাত। যাতে অংশ নেন ভারতের মুসল্লিরা।

সেজু