একদিকে ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির আলোচনা, অন্যদিকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে আন্তালিয়ায় ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। ন্যাটোর এই বৈঠকে বারবার উঠে আসে ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি ইস্যু। এতে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুট বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরবর্তী ধাপ বাস্তবায়নের পুরোটাই নির্ভর করছে রাশিয়ার ওপর। কারণ যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেন প্রস্তুত।’
ন্যাটো প্রধান মার্ক রুট বলেন, ‘ইউক্রেন প্রস্তুত। এটা পরিষ্কার। সবকিছু নির্ভর করছে রাশিয়ার ওপর। তারা কেন বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখছে, এটা পরিষ্কার করা উচিত। ইউক্রেন যতো দ্রুত সম্ভব আলোচনা শুরু করতে চায়। শুরুটা ট্রাম্প করে দিয়েছেন। কিন্তু রাশিয়ার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। ভয়ংকর এই যুদ্ধ বন্ধ করা জরুরি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো সামরিক সমাধান নেই। কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে শুধু এই যুদ্ধ শেষ হতে পারে।’ ইউক্রেন আর রাশিয়ায় কী হচ্ছে, এটা এখন বড় চিন্তার বিষয় বলেও জানান তিনি। রুবিও আরো বলেন, ‘ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো আগামী এক দশকে প্রতিরক্ষা খাতে ৫ শতাংশ ব্যয় করতে সম্মত হবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘ইউক্রেন সংকটের সামরিক সমাধান নেই। আগে আর পরে, কূটনৈতিকভাবে এই যুদ্ধ শেষ করতে হবে। সম্মেলনের আর বেশি দেরি নেই। এখন অনেকেই ২ শতাংশ, অনেকে ৪ শতাংশ ব্যয় করছে প্রতিরক্ষা খাতে। কিন্তু আগামী এক দশকে তা ৫ শতাংশে উন্নীত হবে। ন্যাটোর ইতিহাসে যা প্রথম। পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন।’
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনিও তাজানি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন এতো সহজে নিজের অবস্থান ছাড়বেন না। কারণ অন্তত ১০ লাখ সেনাকে সাধারণ কর্মীদের তুলনায় বেশি বেতন দেয়া হচ্ছে। ইউক্রেনকে সুরক্ষা দিতে ন্যাটোকেই এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হেগে ন্যাটো সম্মেলনের ছয় সপ্তাহ আগে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াতে আর ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্যই বৈঠকে বসেছিলেন ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। বাজেটের ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় না করলে ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করা হবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর বাজেট বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ন্যাটো প্রধান মার্ক রুট।