ইরান সমর্থিত ইয়েমেনি হুতি ও ইসারাইলের মধ্যে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নাস্তানাবুদ হওয়ার একদিন পরই ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান হামলা চালালো ইসরাইল। বুধবারের (২৮ মে) এ হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে ইয়েমেনিয়া এয়ারওয়েজের সবশেষ বেসামরিক বিমানটি।
চারটি রানওয়ে লক্ষ্যবস্তু করে চার দফা বোমা নিক্ষেপ করেছে তেল আবিব। এতে বেসামরিক বিমান ছাড়াও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমানবন্দরের স্থাপনা। গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর পর বুধবার ইয়েমেনে চালানো হামলাটি ইসরাইলের দশম আক্রমণ। এ অবস্থায় হুতিরা বলছেন, ইয়েমেনে তেল আবিবের হামলাই প্রমাণ করে, তাদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইসরাইল।
এদিকে, ইসরাইলের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হুতিরা বলেছে, যতই আগ্রাসন চালানো হোক না কেন, তাদেরকে পিছু হটানো যাবে না। বরং গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন এবং ইসরাইলবিরোধী অবস্থান আরো জোরালো হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। ইসরাইলের সামনে ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে বলেও জানায় গোষ্ঠীটি।
ইয়েমেনের হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল হুতি বলেন, ‘ইসরাইলি আগ্রাসনের পরিমাণ বা পুনরাবৃত্তি যাই হোক না কেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আমাদের সমর্থন কিছুতেই কমবে না। ইসরাইলি শত্রুরা এখন আমাদের হজযাত্রীদের পরিবহনে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তারা সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হবে। আমরা শক্ত অবস্থানে অবিচল। তাদের কঠোর জবাব দেয়া হবে।’
গাজায় চলমান আগ্রাসনের মধ্যেই ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ায়, তেহরানের বিরুদ্ধেও তেল আবিব পদক্ষেপ নিতে পারে বলে শঙ্কা বাড়ছে। এমন এক সময় এই শঙ্কা করা হচ্ছে যখন পরমাণু চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে আলোচনা চলমান। এ অবস্থায় ইরানের বিরুদ্ধে এখনই কোনো পদক্ষেপ না নিতে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে দেয়েছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাকে বলেছিলাম যে এখনই ইরানের বিরুদ্ধে কিছু করা ঠিক হবে না। কারণ আমরা একটি সমাধানের পথে আছি। এই মুহূর্তে কিছু করলে ইরানের সাথে পারমাণবিক আলোচনা ব্যাহত হতে পারে।’
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলার হুমকি দিয়ে আসছে ইসরাইল। ইরানও হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে, যদি এমন কোনো আক্রমণ চালানো হয় তবে তেল আবিবকে কঠোর জবাব দেবে তারা।