যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেনে চলছে তুমুল যুদ্ধ। থেমে থেমেই ইউক্রেনে ড্রোন ও রকেট হামলা করছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনও আক্রমণ করছে রুশ ভূ-খণ্ডে। গত এক সপ্তাহে ইউক্রেনের পাঠানো ১ হাজার ৪০০ বেশি ড্রোন ভূ-পাতিত করার দাবি করেছে মস্কো। অপরদিকে ইউক্রেন তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছে বলে জানায় কিয়েভ।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় বসছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠকের দিন সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য স্মারকলিপি তুলে ধরবে রাশিয়া। তবে স্মারকলিপিতে কোন কোন বিষয় থাকবে তা এখনি জনসম্মুখে জানাচ্ছে তারা।
তুরস্কের দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে এবারের বৈঠকে কারা উপস্থিত থাকবেন এ বিষয়ে কোনো পক্ষই থেকেই স্পষ্ট করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের তুমুল ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও পুতিন ও জেলেনস্কির একগুঁয়েমি জন্য রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ ট্রাম্পের।
পুতিন যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন দুই সিনেটর। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তারা।
মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে মার্কিন সিনেট। হাউস সদস্যদেরও এই বিষয়ে একমত রয়েছে।’
তবে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনীয় সেনা পাঠানোর বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে আপত্তি জানিয়েছেন জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভেসেলি নেভেনজিয়া বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য এর মূল কারণ নিয়ে আলোচনা করতে হবে। তুরস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় এ বিষয়ে স্মারকলিপি তুলে ধরা হবে। দু'পক্ষই সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।’
যদিও রাশিয়ার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মত, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাবে না। তারা যুদ্ধবিরতির নামে কেবল নাটক করছে।