যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব না মানলে গাজা ধ্বংসের হুঁশিয়ারি ইসরাইলের

গাজার যুদ্ধ অবস্থা
বিদেশে এখন
0

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মার্কিন ত্রাণকেন্দ্রের পাশে ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন শতাধিক। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ৩টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে হামাস। যা অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। হামাস যদি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি না হয়, তবে গাজা ধ্বংসের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইসরাইল।

গাজায় মৃত্যুর মিছিল কোনোভাবেই যেন থামছে না। নতুন করে মার্কিন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনিদের মরণফাদেঁ। ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ভিড় লক্ষ্য করে হরহামেশাই গুলি চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এতে প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ গাজাবাসীর।

শনিবারও (৩১ মে) গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মার্কিন সহায়তাকেন্দ্রের পাশে গুলি করে ইসরাইলি সেনারা। এতে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি হতাহত হন।

গাজার সরকারি মাধ্যম জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে ত্রাণ নিতে এসে প্রাণ গেছে অর্ধশত ফিলিস্তিনির। আহত হয়েছেন দুইশতাধিক। তাই ত্রাণের নামে ইসরাইল মৃত্যু ফাঁদ সাজিয়েছে বলে অভিযোগ গাজাবাসীর।

গাজাবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কোনো ধরনের সহায়তা পাইনি। গতকাল কিছু ত্রাণ বিতরণ করলেও সকালের মধ্যে তা শেষ হয়ে গেছে। এখানে ইসরাইলি সেনারা সরাসরি গুলি করছে।’

আরেকজন বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। আটার দাম লাগামের বাইরে। কেনার সাধ্য নেই। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও গাজার উত্তরাঞ্চলে এসেছি। সহায়তা না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি।’

হামাস-ইসরাইলের ভয়াবহ এ যুদ্ধ যেন কোনোভাবেই শেষ হচ্ছে না। পৌঁছানো যাচ্ছে না চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে। এবারের যুদ্ধ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে হামাস। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে গোষ্ঠীটি।

তাদের দাবি, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে। উপত্যকাটি থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য জরুরি ত্রাণ সরবারহ নিশ্চিত করতে হবে।

সংগঠনটি আরো জানায়, ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকজন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ১০ জন জীবিত ইসরাইলি বন্দিকে ও ১৮ জনের মরদেহ ফেরত দেয়া হবে। এ ছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসনকে গাজা যুদ্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সমাধানের আহ্বান জানায় হামাস।

তবে, হামাসের এ প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। সেই সঙ্গে হামাসের এসব শর্ত যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে পেছনে টেনে নিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য তার। 

এ ছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়েছেন যে, সব ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে কোনো যুদ্ধবিরতি নয়।

ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যদি হামাস রাজি না হয় তবে গাজার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল।’

এসএইচ