পারমাণবিক সংকট: মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার হুঁশিয়ারি তেহরানের

আলী খামেনী, ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিদেশে এখন
0

পরমাণু ইস্যু নিয়ে ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে, মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিয়েছে তেহরান। পাঁচ দফা আলোচনার পর কোনো চুক্তিতে আসতে না পারায় সমাধান নিয়ে সংশয়ে ট্রাম্পও। অন্যদিকে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার তথ্যকেও মিথ্যা বলছে তেহরান। এ অবস্থায় ইরানের অতিরিক্ত পারমাণবিক উপকরণ অপসারণে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া।

পরমাণু ইস্যুতে পাঁচ দফা বৈঠকে বসেও কোনো কূল কিনারা করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। ওয়াশিংটনের সাফ কথা, ইরানকে কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেয়া হবে না। অন্যদিকে তেহরান বলছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না।

দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ারও দাবি জানিয়েছে ইরান। এ অবস্থায় শান্তিপূর্ণ সমাধানের আর কোনো আশা দেখছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। আর তাই আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান না আসলে ইরানের ওপর হামলা চালানোর হুমকিও দিয়ে রেখেছেন তিনি।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ বলেছেন, পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালে, মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে পাল্টা আক্রমণ চালাবে তেহরান।

তিনি বলেন, ‘আলোচনার ফলাফল না আসলে এবং ইরানের ওপর আঘাত আসলে ছেড়ে দেয়া হবে না। নিঃসন্দেহে শত্রুর ক্ষতি আমাদের চেয়ে বেশি হবে। সেক্ষেত্রে, যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করতে হবে। তাদের সমস্ত ঘাঁটি ইরানের নাগালের মধ্যে আছে। সেসব জায়গায় ইরানের প্রবেশাধিকারও আছে।’

এদিকে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি অভিযোগ করেছেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। যা লজ্জাজনক। ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেনি। পারমাণবিক উপাদান কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদন ও অন্যান্য শান্তিপূর্ণ প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়।

এরমধ্যেই পরমাণু ইস্যু নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মতপার্থক্য দূর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিন মুখপাত্র জানান, ইরান থেকে অতিরিক্ত পারমাণবিক উপকরণ অপসারণ করে জ্বালানিতে রূপান্তর করতে আগ্রহী মস্কো।

ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবশেষ ফোনালাপেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে। দুই পক্ষ সম্মত হলে এবং প্রয়োজন মনে করলে রাশিয়া সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।’

ষষ্ঠ দফার আলোচনার তারিখ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, পরবর্তী আলোচনা হবে আগামী রোববার। আর যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বৃহস্পতিবার হতে পারে আলোচনা।

সেজু