ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ

ইরানের মিসাইল হামলার ছবি
বিদেশে এখন
0

ইরানের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে ইসরাইল। নিউইয়র্ক টাইমসের দাবি, মিসাইলের ওয়ারহেডে সংযুক্ত করা হয়েছে নিষিদ্ধ এ বোমা, যা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। যদিও অভিযোগের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো বক্তব্য দেয়নি ইরান।

আকাশের বুক চিড়ে উড়ে যাচ্ছে একের পর এক মিসাইল। ইরানের এই শক্তিশালী মিসাইলগুলোর লক্ষ্যবস্তু ইসরাইলের সামরিক স্থাপনা। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এমন এক ঝাঁক মিসাইল উৎক্ষেপণের ভিডিও প্রকাশ করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।

আইআরজিসির ছোড়া মিসাইলগুলো ইসরাইলে আঘাত করার পরই ছড়িয়ে পড়ে আগুন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় চারপাশ। আয়রন ডোম, ডেভিডস স্লিং ও অ্যারো সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়ে তাণ্ডব চালানো মিসাইলগুলো নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস।

আইডিএফের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যমটির দাবি, বৃহস্পতিবার মধ্য ইসরাইলকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় মিসাইলের ওয়ারহেডে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে ইরান। ৮ দিন ধরে চলা সংঘাতে এই বোমা ব্যবহার এবারই প্রথম।

ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধে ২০০৮ সালের একটি কনভেনশনে সই করেছে বিশ্বের ১২৩টি দেশ। তবে ইরান কিংবা ইসরাইল এখনো কেউই এই সনদের অংশ নয়।

সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ফ্যাবিয়ান হিঞ্জের দাবি, কিয়াম ও খোররামশহর নামের দু'টি ইরানি মিসাইলের ক্লাস্টার বোমা বহন করা সম্ভব। ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে আঘাতের সম্ভাবনা বাড়ে বহুগুণে।

ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমার ক্যানিস্টার দশটি থেকে শুরু করে শতাধিক ছোট বোমা বহন করতে সক্ষম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রথম ব্যবহার হয় ক্লাস্টার বোমা। বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোই এর মূল উদ্দেশ্য। ছড়িয়ে পড়া এসব বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় সক্রিয় থাকতে পারে বহু বছর পর্যন্ত।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে এই বোমা ব্যবহার করা হচ্ছে কী না, তা নিশ্চিত করেনি ইরান। ২০০৬ সালে লেবানন যুদ্ধে ক্লাস্টার বোমার প্রয়োগ করে ইসরাইল। আর সবশেষ ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কো ও কিয়েভ, উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই গুচ্ছ বোমা ব্যবহারের অভিযোগ মিলেছে।

এসএইচ