ন্যাটো সম্মেলনে আলোচনার কেন্দ্রে ‘ইরান ইস্যু’

ন্যাটো সম্মেলনের সভাকক্ষ
বিদেশে এখন
2

প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এবারের ন্যাটো সম্মেলন শুরু হলেও ইরান ইস্যু এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই ইস্যুতে ন্যাটো প্রধান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে হামলা আন্তর্জাতিক নীতি পরিপন্থি নয়। প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপির পাঁচ শতাংশে উন্নীত করতে ন্যাটো সম্মেলনে আগামীকাল (বুধবার, ২৪ জুন) আসতে পারে সিদ্ধান্ত।

হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো উত্তর আটলান্টিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি, ইরান–ইসরাইল যুদ্ধবিরতি নিয়ে ধোঁয়াশার এমন সময় নেদারল্যান্ডসের হেগে মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে ন্যাটোর সম্মেলন। মূল আলোচ্য বিষয় হওয়ার কথা ছিল, ন্যাটোর জন্য সদস্যভুক্ত অন্যান্য দেশের প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। কিন্তু এখন স্পটলাইট, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা।

২৪ এবং ২৫ জুন হেগে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ন্যাটোর সম্মেলন শুরুর আগেই ন্যাটো মহাসচিবও সুর মিলিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেই। জানালেন, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নয়। পাশাপাশি মার্ক রুট বলেন, ইরানের কাছে কোন পরমাণু অস্ত্র থাকতে পারবে না।

আরো পড়ুন:

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট বলেন, ‘যখন ইরানের পরমাণু প্রকল্পের ইস্যু আসে, তখন আমরা সবাই একমত। আমার বড় ভয়, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির বিষয়টি। পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে যা অস্থিতিশীল করে দিতে পারে। ন্যাটো চায় না, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করুক। যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে তা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে না।’

ন্যাটো সম্মেলন ঘিরে হেগে সম্মেলনস্থলে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাচ কর্তৃপক্ষ এই সম্মেলনকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ন্যাটো সম্মেলন বলছেন। এই সম্মেলনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেদ্যারল্যান্ডস ব্যয় করেছে ২১ কোটি ডলার। সম্মেলন স্থল ওয়ার্ল্ড ফোরামের চারপাশ ঢেকে দেয়া হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। সম্মেলন শুরুর আগে সম্মেলনস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা জানান, ন্যাটো সম্মেলনের মূল বিষয় হওয়া উচিত প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়।

আরো পড়ুন:

ন্যাটো সদস্য দেশগুলো জিডিপি প্রবৃদ্ধির ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে সম্মতি জানালেও এখনও কোন দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি কোন দেশ। ন্যাটো মহাসচিব বলেছেন, এই প্রস্তাব থেকে কোনো দেশের সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ৩২টি দেশ এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে কিনা, আগামী চার বছর তা পর্যালোচনা করা হবে। বুধবার ন্যাটো সম্মেলনে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপির পাঁচ শতাংশে উন্নীত করতে আসতে পারে সিদ্ধান্ত।

এবারের ন্যাটোর সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ৩২ দেশের ছয় হাজার প্রতিনিধি। থাকছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

এসএস