রাশিয়ার ভরোনেজ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলা

বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলা
বিদেশে এখন
0

ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রেকর্ডসংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে রাশিয়ার ভরোনেজ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে অত্যাধুনিক সমরযান ও বেশ কয়েকটি এয়ারক্রাফট ধ্বংসের দাবি জেলেনস্কি সেনাদের। হামলা হয়েছে রাজধানী মস্কোর প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করেও। রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনের ড্রোন সফলভাবে প্রতিহতের দাবি করলেও হামলার কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় এসব এয়ারপোর্টের বিমান চলাচল।

এদিকে, রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে এই মুহূর্তে ইউক্রেনের প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এই সদিচ্ছার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।

রুশ হামলার জবাবে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলেও আবারও সামরিক ঘাঁটির মতো কৌশলগত হামলা চালিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেন। ভরোনেজ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বরিসোগোবেস এয়ার বেইজে জেলেনস্কি সেনাদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নড়েচড়ে বসেছে মস্কো।

শুধু বিমানঘাঁটি ও সেখানে মজুদ করে রাখা সমরাস্ত্র ছাড়াও শনিবার ইউক্রেনের হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু ছিল রাজধানী মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। যদিও মস্কোর মেয়রের দাবি, ইউক্রেন থেকে ছোঁড়া ৪টি ড্রোন সফলভাবে প্রতিহত করেছে রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। যদিও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিমানবন্দরের কার্যক্রম।

রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত রাশিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে মোট ৪৮টি ড্রোন ছোঁড়ে ইউক্রেন। রোববার ভোরে রুশ ভূখণ্ডে পাঠানো হয় আরও ৪৫টি ড্রোন। তবে মস্কোর দাবি, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত কিয়েভের মোট ৯৪টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

এরআগে ইউক্রেনে একধাক্কায় ৩২২টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া। এরমধ্যে ১৫৭টি প্রতিহতের দাবি করে কিয়েভ আর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্যর্থ হয় বাকি ১৩৫টি ড্রোন। রুশ গণমাধ্যম আরটি বলছে, পুতিন সেনারা ইউক্রেনের উত্তরপূর্বে খারকিভ দখলের পরিকল্পনা করছে। আর এ কারণেই কৌশলগত হামলা জোরদার করছে রাশিয়া।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গেল শুক্রবারের ফোনালাপকে যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হিসেবে দেখছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাশপাশি, ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম দেয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। তিনি যেভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন, আমরা কৃতজ্ঞ। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত ঠেকাতে প্যাট্রিয়ট সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে কথা হয়েছে। আগামী বৈঠকে সেসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।’

এদিকে, ইউক্রেনের প্যাট্রিয়ট মিসাইল প্রয়োজন হবে এমন বক্তব্য দিলেও ওয়াশিংটন কিয়েভকে এই সহায়তা দেবে কী না তা স্পষ্ট করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আবার, ওয়াশিংটনের বার্তা অগ্রাহ্য করে ইউক্রেনে হামলা চালানোয় রুশ প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করলেও, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে পুতিনকে পরোক্ষভাবে সাহসও দিচ্ছেন ট্রাম্প।

রুশ গণমাধ্যম আরটি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, পুতিন একজন বিচক্ষণ নেতা এবং পেশাদারিত্ব ভালোই বোঝেন তিনি। ট্রাম্প মনে করেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কৌশলগতভাবে নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা আছে পুতিনের।

সেজু