গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ২৫ হাজার টন বিস্ফোরক দিয়ে আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। এতে উপত্যকার প্রায় ৯০ শতাংশই পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। যার কারণ ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি তো হয়েছেই, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। ধ্বংসস্তূপের নগরীতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা।
যুদ্ধ, আগ্রাসন, হানাহানি ছাড়াও মানুষের গৃহহীন হওয়ার বড় কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবে একদিক দাবানলের আগুনে পুড়ে তছনছ হচ্ছে; অন্যদিকে আকস্মিক বন্যা-ভূমিধসেও ঘরবাড়ি হারাচ্ছে মানুষ। এর বাইরেও দারিদ্রতার কারণে বসবাসের অযোগ্য জায়গায় জীবন পার করছেন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ।
এভাবেই বিশ্বে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের হিউম্যান সেটেলমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক। বস্তিসহ অনেক ঘরবাড়িতে গাদাগাদি করে বসবাস করায় অনেকের গৃহ সংকটের দৃশ্য খুব একটা সামনে আসে না। সেই হিসেবে বিশ্বব্যাপী জনাকীর্ণ স্থানে বসবাস করা জনসংখ্যা ২৮০ কোটির বেশি। আর ১১০ কোটির বেশি মানুষ বস্তি বা অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বাস করে বলে তথ্য তুলে ধরেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের হিউম্যান সেটেলমেন্ট প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক আনাক্লাউডিয়া রসবাখ বলেন, ‘অনেক মানুষ আছেন জনাকীর্ণ অ্যাপার্টমেন্ট বা বাড়িতে বসবাস করে। অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করা এসব মানুষের বিষয়গুলো অনেক সময় সামনে আসে না। আজকাল সর্বত্র রাস্তায়ও অনেক মানুষকে বসবাস করতে দেখা যায়। সে হিসেবে আমাদের কাছে বর্তমানে থাকা তথ্য অনুযায়ী ৩০ কোটি মানুষ গৃহহীন। সংখ্যাটি আরও বেশি হবে, কারণ অনেক তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।’
গাজা উপত্যকা থেকে শুরু করে আফ্রিকাসহ পুরো বিশ্বের গৃহহীনদেরই খাবার, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, চিকিৎসা ও জ্বালানির মতো মৌলিক পরিষেবাগুলোর তীব্র সংকট।
জাতিসংঘের হিউম্যান সেটেলমেন্ট প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক আনাক্লাউডিয়া রসবাখ বলেন, ‘আপনি বস্তি কিংবা ভাসমান বসতিগুলোতে দেখতে পাবেন, সেখানকার মানুষ সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, বিদ্যুতের অভাবসহ চরম মৌলিক পরিষেবাগুলোর অভাবে খুবই অনিশ্চিত জীবনযাপন করেন।’
বিশ্বব্যাপী এভাবে গৃহহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যেও তহবিল সংকটে বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা বঞ্চিতের ঝুঁকিতে ১ কোটি ১৬ লাখের বেশি শরণার্থী। এমন তথ্য তুলে ধরেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউ.এন.এইচ.সি.আর।
যুদ্ধ, সংঘাত, জলবায়ু সংকটসহ নানা কারণে বিশ্বে বাড়ছে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা। জাতিসংঘের মতে, বর্তমানে গৃহহীনদের সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়েছে। আর জনাকীর্ণ স্থানে বসবাস করা জনসংখ্যা অন্তত ২৮০ কোটি। এদের মধ্যে গাজার বাসিন্দাদের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। এসব জায়গায় রয়েছে খাবার, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, চিকিৎসা ও জ্বালানির মতো মৌলিক পরিষেবাগুলোর তীব্র সংকট। তৌহিদুর রহমান জানাচ্ছেন বিস্তারিত।
গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ২৫ হাজার টন বিস্ফোরক দিয়ে আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। এতে উপত্যকার প্রায় ৯০ শতাংশই পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। যার কারণ ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি তো হয়েছেই, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। ধ্বংসস্তূপের নগরীতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা।