ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের ১ দিন পেরোলেও এখনো বিশ্ববাসীর আলোচনায় আলাস্কা সম্মেলন। ইউক্রেনে শান্তির বিষয়ে চূড়ান্ত ফল না এলেও রাশিয়ার প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের নমনীয় আচরণ এখন স্বচ্ছ পানির মতোই পরিষ্কার।
৪ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া বৈঠক ও ১৫৮ বছর পর রুশ সরকার প্রধানের মার্কিন মুল্লুকে পদার্পণের মূল লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনে শান্তি স্থাপন। তবে ইউক্রেন নয়, ট্রাম্পের সঙ্গে মিত্রতা তৈরিই ছিল পুতিনের লক্ষ্য, এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের। এতে ইউক্রেন সংকট থেকে ওয়াশিংটন-মস্কো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে পরিবর্তিত হয় বৈঠকটি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক লুসিয়ান কিম বলেন, ‘পুতিনের দিক থেকে এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ইউক্রেনে শান্তি স্থাপন ছিল না। বরং যুক্তরাষ্ট্র বা সম্ভবত ট্রাম্পের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্য ছিল। তিনি এটি পূরণ করেছেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক থেকে ইউক্রেন সংঘাতকে আলাদা করার লক্ষ্যও পূরণ হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
এতদিন ইউক্রেনের সুরে যুদ্ধবিরতির পরই আলোচনায় জোর দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিজের অবস্থান পরিবর্তনে সমর্থ হন রুশ প্রেসিডেন্ট। এরইমধ্যেই সাময়িক যুদ্ধবিরতির বদলে স্থায়ী শান্তি চুক্তিতে সম্মত হতে দুপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান ট্রাম্প। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে রাশিয়ার স্বার্থই রক্ষা করেছেন রিপাবলিকান নেতা।
লুসিয়ান কিম বলেন, ‘ইউক্রেনীয়রা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর আলোচনা চান। অন্যদিকে রুশদের অবস্থান এর বিপরীত। এর মাধ্যমে লড়াইয়ের ওপর ভিত্তি করে রুশরা নতুন যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগও তৈরি হবে।’
দোনেৎস্ক অঞ্চল ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে রাশিয়া শান্তি স্থাপনের শর্ত দিলেও তা প্রত্যাখান করেছে ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক অচলাবস্থায় যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
তবে ইউক্রেনের প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান, জেলেনস্কির উচিত রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো। কারণ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, বিশ্বে রাশিয়া একটি বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়।