লাল-সবুজ আর সাদা কালো মিশেলে ফিলিস্তিনি পতাকা এবং হামাস নেতাদের ছবি হাতে জনসমুদ্র পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচী।
প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে রোববার গাজা সলিডারিটি মার্চ- শিরোনামে আয়োজিত এই বিশাল সমাবেশে অংশ নেন পাকিস্তানের লাখ লাখ জনতা। ১০০ ফুট দীর্ঘ ফিলিস্তিনি পতাকা কাঁধে জড়ো হন একদল শিক্ষার্থী।
এই সংহতি সমাবেশে শিশু সন্তান নিয়ে শুধু মুসলমান নয়, খ্রিস্টান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও যোগ দিয়েছেন। শ্লোগানে শ্লোগানে গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানান সবাই।
কাফনে মোড়ানো প্রতীকী রক্তাক্ত মৃতদেহে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের নির্মম দৃশ্য তুলে ধরেন বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু। যার মাধ্যমে বিশ্ব বিবেককে নাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করেন তারা। যা দেখে আবেগতাড়িত হয়ে ওঠেন গাজার সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসা সাধারণ মানুষেরা।
এই সম্মেলন থেকে ইসরাইলি পণ্য বর্জনেরও আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানের ইসলামপন্থী দল জমিয়াতে উলামা ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশকে ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধে সহযোগিতার অভিযোগ তোলেন দলটির নেতারা।
ইহুদিদের অর্থনৈতিকভাবে দমাতে আমরা দেশব্যাপী তাদের পণ্য বর্জনের জোর দাবি জানাই। এর জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের নেতাদের আমেরিকার সাথে নয়, জনগণের সাথে দাঁড়াতে হবে। এভাবে কিছুটা হলেও গাজা এবং জেরুজালেমে থাকা আমাদের ভাইদের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করতে পারি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই নারী ও শিশু। ইসরাইল বর্বরতায় এই মুহূর্তে দুনিয়ার সবচেয়ে নিষ্ঠুর মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে আছে ফিলিস্তিন।