দেশজুড়ে এ বিক্ষোভের আয়োজন করেছে ‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ নামক একটি গ্রুপ, যারা অনেকদিন ধরেই জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিতে সরকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলে আসছে।
বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে সহায়তা করেন এবং হামাসের হাতে আটক থাকা জিম্মিদেরকে মুক্ত করতে ভূমিকা রাখেন।
ধারণা করা হচ্ছে, হামাস যাদেরকে জিম্মি করে নিয়ে গিয়েছিলো, তাদের মাঝে ২০ জন এখনও জীবিত আছেন।
এদিকে ইসরাইলের প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ চলায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দেশজুড়ে মহাসড়কগুলোয় এখন গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
তেল আবিবের উত্তরে ইয়াকুম জংশনের কাছে কোস্টাল হাইওয়ে বা রুট টু-তে বিক্ষোভকারীরা সড়কের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ায় ওই মহাসড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া মাতান জাঙ্গাউকারের মা আইনাভ জাঙ্গাউকার আজ সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘৬৯০ দিন ধরে সরকার কোনো সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আজ, এটা পরিষ্কার যে নেতানিয়াহু একটি জিনিসকেই ভয় পান। আর তা হলে জনগণের চাপ। আমরা এ যুদ্ধ আরও এক বছর আগেই শেষ করতে পারতাম এবং সকল জিম্মি ও সেনাদেরকে ফিরিতে আনতে পারতাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বারবার বেসামরিক মানুষদের বলি দেয়ার পথ বেছে নিয়েছেন।’
ইসরায়েলজুড়ে এ প্রতিবাদটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন গাজায় নতুন করে ইসরাইলি বিমান হামলা চলছে এবং ইসরাইল সেখানে স্থল অভিযান চালানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে গতকাল দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে ইসরাযইলি হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিক এবং চারজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।