দু'পয়সা লাভের আশায় যারা শ্রম আর পুঁজি বিনিয়োগ করেছে কৃষকরা। সেই কৃষকের অভিযোগ গতবারের তুলনায় বেড়েছে সার, বীজ ও কীটনাশকের দাম। এবার বীজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
কৃষকরা বলেন, আসল বীজ আমরা পাচ্ছি না। আসল বীজের সাথে দুই নাম্বার বীজ মিশিয়ে আমাদের দিচ্ছে। গতবছর সার কিনেছি ১ হাজার ২০০ টাকায়। কিন্তু এবার কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। বীজের দাম ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে এবার হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
বগুড়া শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় বীজের দোকানগুলোতে আকর্ষণীয় মোড়কে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির বীজ বিক্রি হচ্ছে। প্রতি প্যাকেট বীজে এবার বাড়তি গুণতে হচ্ছে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। আমদানিকৃত বীজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি দাবি করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন এখনো পরিবেশকদের কাছে বীজ সরবরাহ করেনি বিএডিসি।
বীজ ব্যবসায়ীরা বলেন, 'ভারত থেকে নিয়ে আসা হয় সেজন্য দাম বেশি। ডলার এর দাম বেশি হওয়ায় আমাদের খরচ বেড়েছে।'
বাজারেও মিলছে না বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-র ভুট্টার বীজ। প্রতিষ্ঠানটির বিপণন বিভাগের দাবি পরিবেশকদের কাছে বিক্রির জন্য বগুড়া অঞ্চলে এখনও বীজ পৌঁছায়নি। আর ভারত থেকে আমদানি করা ১৬ টন বীজের কেজি প্রতি খরচ পড়েছে ৪০০ টাকা। যার সবটুকু প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়েছে বগুড়া ও জয়পুরহাট কৃষি অধিদপ্তরে।
এ অবস্থায় কৃষিবিদরা বলছেন, 'কৃষকের সাশ্রয়ের জন্য ভুট্টার বীজ উৎপাদনে বিএডিসির সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।'
বগুড়া অঞ্চলের বিএডিসি উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, 'ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে দেয়ার জন্য বিএডিসি আমাদের বীজ দেয়নি। কিন্তু কেন দেয়নি সেটি আমরা বলতে পাচ্ছি না।'
গাইবান্ধা, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলায় এবার ৩০ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টাচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ। আর এই তিন জেলায় প্রণোদনা হিসেবে কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত ভুট্টা বীজের পরিমাণ ২৩ টনেরও কম।