নিহতের স্বজনরা জানান, পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আকরাম ছিলেন সবার বড়। টানাপোড়েনের সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে প্রায় এক বছর আগে রাশিয়ায় পাড়ি জমানো আকরাম। প্রথমে সেখানে একটি চীনা প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। তবে বেতন আশানুরূপ না হওয়ায় দালালের প্রলোভনে পড়ে আড়াই মাস আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে চুক্তিভিত্তিক রুশ বাহিনীতে যোগ দেন। যুদ্ধের পোষাক পরা একটি ছবিও আপলোড করেন নিজের ফেসবুক আইডিতে।
নিহত আকরামের মা মোবিনা বেগম বলেন, 'যুদ্ধে না যাওয়ার জন্য আমরা নিষেধ করলেও আকরাম জানিয়েছিলে তার আর দেশে ফিরে আসার উপায় নেই। ছেলের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ হতো। কিন্তু গত ১৩ এপ্রিলের পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। গতকাল আকরামের এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানায় সে ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় মারা গেছে। আমি আমার সন্তানের লাশ চাই।'
আকরামের বাবা মোরশেদ মিয়া জানান, সবশেষ গত রোববার (১৩ এপ্রিল) ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার। সেখানকার পরিস্থিতি ভালো না বলে জানিয়েছিলে। দেশেও ফিরে আসার কোনো পথ ছিল না। পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, 'স্থানীয়দের মাধ্যমে রাশিয়ায় আশুগঞ্জের একজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। নিহতের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।'