মহড়ায় অংশগ্রহণ করে বেবিচক, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাব, বাংলাদেশ পুলিশ, এপিবিএন, আনসার, এয়ার অ্যাস্ট্রা লিমিটেড, সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক সংস্থা।
মহড়ার দৃশ্যপটে দেখা যায়, সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে একটি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। নির্ধারিত সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার আগে কন্ট্রোল টাওয়ারে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন আসে। কলদাতা জানান, বিমানে বোমা স্থাপন করা হয়েছে।
কন্ট্রোল টাওয়ার তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অবহিত করে। পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক পূর্ণ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার সক্রিয় করার নির্দেশ দেন। পরে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইমার্জেন্সি রেসপন্ডিং অ্যাক্টিভিটিস পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, বিএসপি, জিইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, এসিএসসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানের চিফ কোর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমডোর মো. আসিফ ইকবাল, বিইউপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জিডি(পি)। অনুষ্ঠানের অনসীন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এ.কে.এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতার শুরুতে সকল অংশীজনকে মহড়ায় অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, ‘এ ধরনের মহড়া কেবল দুর্বলতাগুলো শনাক্ত করতেই নয়, বরং বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সম্মানিত যাত্রীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহড়ার সফলতা সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও দায়িত্বশীলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এর মাধ্যমে যেকোনো অনভিপ্রেত ঘটনা দ্রুত ও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’
অংশীজনদের প্রস্তুতি ও দক্ষতা প্রত্যক্ষ করে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘আজকের মহড়ায় যুক্ত প্রতিটি সংস্থা প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে।’
সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি সকলকে জাতীয় স্বার্থে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম এরমধ্যেই দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করেছে। রানওয়ে ওভারলে কাজের প্রায় ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন এপ্রোন বা টারমার্ক নির্মাণকাজ সদ্য শেষ হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১২ হাজার ফিট পেরিমিটার রোড সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি প্রায় তিন হাজার ফিট কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এসবের পাশাপাশি অন্যান্য উন্নয়নমূলক কার্যক্রমও দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। এসব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্মানিত যাত্রীদের জন্য আরও আরামদায়ক ও মানসম্মত ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে এবং একই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করে তুলবে।’
এছাড়া মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহ্বুব খান, বিএসপি, বিইউপি, এনডিসি, পিএসসি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের কর্মকর্তারা, অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা এবং গণমাধ্যমের ব্যক্তিরা।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
