জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সকাল সাড়ে ১০টায় এ বৈঠক শুরু হয়। কমিশনের সঙ্গে প্রায় ৭ ঘণ্টা বৈঠক করে দলটি। এ সময় রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা ঐকমত্য কমিশনকে হস্তান্তর করা হয়।
বৈঠকে ভোটারের বয়স ১৬ করা ও প্রার্থীর বয়স ২৩ করার প্রস্তাব দেয় এনসিপি। এছাড়া কোনো সরকার যাতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকতে না পারে সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকারের আগে 'নিবার্চনকালীন' শব্দটি যুক্ত করার প্রস্তাব দেয় দলটি।
সারজিস আলম জানান, এনসিপির প্রস্তাবনাগুলো হলো- সাংবিধানিক ব্যবস্থা, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সাংবিধানিক পদে নিয়োগ, নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার, দুদক সংস্কার, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সংস্কার এবং জনপ্রশাসন সংস্কার।
আখতার হোসেন বলেন, ‘মোটামুটি ১৬ বছর বয়সী, তাদের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে যেকোনো বিষয়কে বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মতো সক্ষমতা তৈরি হয় এবং আমরা দেখেছি যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও ১৬ বছর বয়সীদেরকে অ্যাডাল্ট হিসেবে ধরে নেয়ার আইন অলরেডি করা হয়েছে।’
বিগত বছরে বাংলাদেশে একই ব্যক্তি বারবার প্রধানমন্ত্রী হতেন বলে উল্লেখ করে এই ধারায় পরিবর্তন চায় এনসিপি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব দেয়া যাবে বলেও মত তাদের।
এর আগে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আলোচনা আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক বিভিন্নভাবে অগ্রসর হচ্ছে এবং এর মধ্য দিয়ে আমরা একটা জাতীয় সনদ তৈরি করতে চেষ্টা করছি। এর লক্ষ্য হচ্ছে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার একটা পথরেখা তৈরি করা। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা চেষ্টা করছি ১৫ মে’র মধ্যে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রাথমিক আলোচনা শেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য।’
এদিকে এনসিপির দেয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে-নিয়ে কথা বলেননি দলটির নেতারা। পরে লিখিত আকারে বিষয়গুলো জানাবে এনসিপি।