বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যম মারফত জানা যায়- রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‘ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশ থেকে কিছু লোক মাজারের দিকে অগ্রসর হন এবং সেখানে পরবর্তীতে তারা মাজার ভাঙচুর ও লাশ পুড়িয়ে দেয়ার মতো ঘৃণ্য ঘটনা ঘটান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা এবং স্থানীয় আলেম-সমাজের সমন্বয়ে ‘ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’ গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ওই কমিটি গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) নুরুল হককে শরীয়ত পরিপন্থী কায়দায় পবিত্র কাবা শরীফের আদলে কালো রঙের ঘরে কবরস্থ করা হয়েছে দাবি করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়।
এই ঘটনায় সহিংসতার আশঙ্কা থাকলেও প্রশাসন তিনদিনেও বিষয়টির সঠিক সুরাহা করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখানে প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় পর্যায়ে দায়িত্বহীনতার পরিচয় অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানায় এনসিপি।
আরও পড়ুন:
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের বর্বর ঘটনা শুধু ফৌজদারি অপরাধই নয়, বরং ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধেরও পরিপন্থি। এনসিপি এ মব-সন্ত্রাসের বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছে।
বিগত কিছুদিন ধরে একটি গোষ্ঠী নানাভাবে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি জানায়, বিভিন্ন সময়ে মাজার ও দরবার ভাঙচুর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গ্রামবাসীর হামলা, তেজগাঁওয়ে আওয়ামী গণহত্যাকারী লীগের মিছিল এবং সবশেষ এ ঘটনাকে আমরা সেই অস্থিরতা তৈরির ধারাবাহিকতা বলে মনে করছি।
বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে এ ধরনের ঘটনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করার আহ্বানও জানানো হয়।
এছাড়া এসব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশে পতিত ফ্যাসিবাদী বয়ান এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির ফেরত আসার সুযোগ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে এ ব্যাপারে নাগরিকদের সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানায় এনসিপি।
