ক্রিকেট বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যেখানে নিজ নিজ দেশের নাম উজ্জ্বল করছে সেখানে সময়ের সাথে সাথে বিপিএলের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে বদনাম। ফিক্সিং-অনিয়মের অভিযোগে বিপিএল যেনো দুর্নীতির অভয়ারণ্য। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের ভাষ্যমতে আর্থিকভাবে অবহেলিত হওয়ার কারণেই ক্রিকেটাররা ঝুঁকছেন ফিক্সিংয়ে।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘বিপিএল আমার কাছে মনে হয় গত ১ থেকে ২ বছরে খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছে। ব্র্যান্ডিং ভেল্যু হারিয়ে ফেলেছে। এতে খুব বড় একটা বদনাম তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গতবছর বা এরপরের বছর খুব ক্লিয়ার খেলা হয়নি যেটা মানুষের কাছে সন্দেহের তালিকায় চলে এসেছে। এতে আর্থিকভাবে অনেক লসের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এত বড় খেলায় আমার কাছে মনে হয় প্লেয়াররা অর্থনৈতিকভাবে অবহেলিত হচ্ছে। ফলে তারা শর্টকাট পথ বেছে নেয়।’
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শতাধিক সন্দেহভাজন ঘটনা আর দেশী-বিদেশী মিলিয়ে একাধিক অভিযুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে সেই খবরে। এমন বাঁধভাঙা দুর্নীতির স্রোত সামলাতে এবং প্রতিকার করতে এন্টি করাপশন ইউনিটে পরিবর্তন চান খালেদ মাসুদ পাইলট।
খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে অবাধ যাতায়াত, হোটেলে অবাধ যাতায়াত এগুলো বন্ধ করতে হবে যেন কাকপক্ষীও ঢুকতে না পারে। আইসিসিতে যেমন হয় বিশ্বকাপের সময় ওইরকম করতে হবে। সেভাবে পরিকল্পনা করতে হবে এবং তাদের ফ্রিডম দিতে হবে যেন কেউ হস্তক্ষেপ না করতে পারে। কোনো দলীয় কারণে যেন কেউ প্রভাবিত হতে না পারে।’
দেশের সর্বোচ্চ স্তরের টুর্নামেন্টে সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি স্টেডিয়াম এলাকার আশপাশের ছাদগুলোতে বেটিং চক্র নির্মূলে প্রশাসনিক ব্যবস্থার পক্ষপাতী পাইলট। আর জড়িত ক্রিকেটার কিংবা সংশ্লিষ্টদের রুখতে শুধু নিষেধাজ্ঞা নয় জেল-জরিমানার বিধানের দিকেও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘আপনি কোনো ছাদ থেকে বাইনোকুলার দিয়ে খেলা দেখে কিছু করছেন সেটা আমার মনে হয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। দুর্নীতিবিরোধী আইসিসির কিছু নিয়ম আছে। ম্যাচ ফিক্সিং বা স্পট ফিক্সিং করলে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কিছু নিয়ম আছে যেমন আপনি কিছু ম্যাচ খেলতে পারবেন না বা বহিষ্কার থাকবেন এমন। এগুলো ছাড়াও, আমাদের দেশের নিজস্ব একটা নিয়ম করা উচিত। ক্রিকেট বোর্ডের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানে যাওয়া উচিত।
ক্রিকেটের স্বার্থে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া আর নিয়মিত অডিট চান খালেদ মাসুদ পাইলট। অবশ্য রাতারাতি অনিয়ম-সিন্ডিকেট-কিংবা ফিক্সিংয়ের মত ঘটনা দূর করা নিয়ে সন্দিহান জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।