দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বমঞ্চে উড়লো বাংলাদেশের পতাকা। ২০২০ সালের সেই যুব বিশ্বকাপটা এখন পর্যন্ত তর্ক সাপেক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে গৌরবময় সময়। লাল-সবুজের জার্সিতে সেদিনের চ্যাম্পিয়ন দলের অনেকেই এখন জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পারভেজ ইমন, তানজিদ তামিম, তাওহীদ হৃদয়। শরিফুল ইসলামরা আগামী কয়েক বছরের জন্য দেশের ক্রিকেটের বড় তারকা।
পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকে ৪১ শতাংশ খেলোয়াড়কে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে বিসিবি। যুব পর্যায় থেকে জাতীয় দলে খেলোয়াড় নিয়ে আসার প্রক্রিয়ায় এর পরেই আছে আফগানিস্তান। মোট ৩৮ শতাংশ বয়সভিত্তিক খেলোয়াড়কে জাতীয় দলের অংশ করেছে তারা। ক্রিকেটের চার পরাশক্তি ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় এই শতাংশের হার ত্রিশের নিচে।
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এহসানুল হক সেজান এখন কাজ করছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্বাচক হিসেবে। ক্রিকেটার উঠিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ক্লাব ক্রিকেট এবং ডিভিশনাল ক্রিকেটেও নজর বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্বাচক এহসানুল হক সেজান বলেন, ‘এসব জায়গা থেকে যদি প্লেয়ার বের হয় তাহলে আমি মনে করি অনেক প্রতিযোগিতামূলক প্লেয়ার বের হবে। কিন্তু আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে যারা বের হয় তাদের আমরা তৈরি করি। আমরা রেডি করছি, হাতীয় দলে যাচ্ছে এটা আমাদের সাফল্য। পাশ থেকে যদি আরও ২ থেকে ৩টি পাথেয় তৈরি হতো তাহলে আরেকটা আমার মনে হয় অন্য স্ট্রাকচারে আসবে।’
বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক সেজান মনে করেন, বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেও ভবিষ্যৎ জাতীয় দলে আসবেন অনেকেই। অলরাউন্ডারদের আধিক্য আর ক্রিকেটারদের তৈরির প্রক্রিয়ায় আস্থা রয়েছে তার।
এহসানুল হক সেজান বলেন, ‘এখন যারা প্লেয়ার আছে তাদের মাঝে অনেক পটেনশিয়ালিটি আছে। আর সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হলো আমাদের খুব ভালো অলরাউন্ডার রয়েছে। সেরা এগারো করতে আমাদের সমস্যা হয় না। কারণ অলরাউন্ডারের সংখ্যা বেশি হলে আপনি সহজে সেরা এগারো করবেন।’
যুব পর্যায়ে সাফল্য নিয়মিত এলেও সিনিয়র ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত মহাদেশীয় বা বৈশ্বিক সাফল্য নেই বাংলাদেশের। সাবেক ক্রিকেটার সেজানের মন্তব্য, খেলোয়াড় তৈরির পথ বাড়ানো হলে জাতীয় দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং সাফল্য দুইই নিয়মিত হয়ে উঠবে।