বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত হয়েছে আগেই। বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচের ফলাফল নিয়ে তাই খুব একটা দুশ্চিন্তায় ভুগতে হতো না ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনাকে। তবে নিজেদের ফর্মেশন খুঁজে পাওয়ার লড়াইয়ে ব্যর্থতায় ডুবেছে দুই দল। ১০ বছর পর ইকুয়েডরের বিপক্ষে হার দেখেছে আর্জেন্টিনা। আর দেড় দশক পর ব্রাজিলকে হারিয়েছে বলিভিয়া।
আরও পড়ুন:
নিয়মরক্ষার ম্যাচে স্কোয়াড নিয়ে খানিক পরীক্ষাই করেছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। যদিও সেটা খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা দেয়নি বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। লিওনেল মেসিকে ছাড়া দলকে ভুগতে হয়েছে ম্যাচ জুড়েই। ২৩ ফাউল এবং দুই লালকার্ডের ম্যাচে জয়সূচক গোল এসেছে পেনাল্টিতে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এনার ভ্যালেন্সিয়ার একমাত্র গোলে পিচিঞ্চা স্টেডিয়াম থেকে হার নিয়ে ফিরতে হয় আলবিসেলেস্তেদের।
এস্তাদিও মিউনিসিপ্যালে ব্রাজিলকে খেলতে হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ১৫০ মিটার ওপরে। প্রতিকূল পরিবেশে ভুগতে হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দলকে। আর হোম কন্ডিশনে বলিভিয়া ছিলো সাবলীল। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে এগিয়ে ছিল দলটি। ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে একাধিকবারই পরীক্ষা দিতে হয়েছে স্বাগতিকদের আক্রমণের সামনে। গোলটা বলিভিয়া পেয়েছে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে। পেনাল্টি থেকে গোল করে স্বাগতিক দর্শকদের স্বস্তি এনে দেন টেরকোরেস। ওই এক গোলই হয়ে যায় ম্যাচের ফলাফল নির্ধারক।
এ হারের পর সেলেসাওদের অবশ্য বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে জটিলতা নেই। তবে, ১৯৯৪ সালের পর বৈশ্বিক আসরের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে বলিভিয়া। আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফে জয় পেলেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পাবে দলটি।