
গাজায় হামাসের পাল্টা হামলায় ইসরাইলি সেনার মৃত্যু, আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনির প্রাণহানি
দখলের ঘোষণা দিয়ে গাজা সিটিতে ইসরাইল হামলার তীব্রতা বাড়ালে হামাসের পাল্টা হামলায় শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এক ইসরাইলি সেনার প্রাণ গেছে। এ দিন অর্ধশতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে নেতানিয়াহুর সেনারা। দুর্ভিক্ষের নগরটি দখলে আজ (শনিবার, ৩০ আগস্ট) থেকে আরও বেশি আগ্রাসী হওয়ায় ইসরাইলের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে ইসরাইলের ওপর আরও বেশি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইয়েমেনের লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় অনাহারে একদিনেই নিহত ১০ শিশু, দুর্ভিক্ষ ছড়ানোর শঙ্কা জাতিসংঘের
গাজা যুদ্ধ ও যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে জরুরি নীতি নির্ধারণী বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে, উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ ট্রাম্পের সাবেক মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত জ্যারেড কুশনার। এদিকে, ইসরাইল বলছে, গাজা সিটিতে নতুন করে হামলার পরিকল্পনা করছে তারা। এদিকে, গাজায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে আবারও সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। উপত্যকাটিতে বুধবার একদিনেই নতুন করে অনাহারে মারা গেছে শিশুসহ অন্তত ১০ জন। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও প্রায় দেড় লাখ শিশু।

ইসরাইলি অবরোধে গাজায় দুর্ভিক্ষের হানা
ইসরাইলি অবরোধের কারণে আর কিছুতে আটকানো গেল না গাজায় দুর্ভিক্ষের হানা। এরইমধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের শিকার বলে প্রথমবারের মতো জানালো জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা-আইপিসি। এ অবস্থায় ইসরাইলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। অনাহারে গাজায় মৃত্যুর ঘটনা যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে, তেল আবিবকে সতর্ক করেছেন ওএইচসিএইচআর মুখপাত্র। তবে এক বিবৃতিতে ইসরাইল দাবি করছে, গাজায় দুর্ভিক্ষের খবর মিথ্যা।

গাজা দখলে অভিযান শুরু, ৬০ হাজার ইসরাইলি সেনা মোতায়েন; পালাচ্ছে লাখো ফিলিস্তিনি
গাজা সিটির পুরোপুরি দখল নিতে এবার পরিকল্পিত সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। প্রথম ধাপের এই অভিযান পরিচালনার জন্য ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভয়াবহ হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর
গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে দখলের পরিকল্পনা নিয়েছেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব উত্থাপন করবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। এদিকে প্রয়োজনের মাত্র ১৪ শতাংশ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে ইসরাইল সরকার। তাই প্রতিনিয়ত দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সোমবার (৪ আগস্ট) দিনভর ইসরাইলি হামলায় উপত্যকায় ৩৬ ত্রাণপ্রত্যাশীসহ ৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে, উপত্যকাটিতে প্রতিদিন ২৮ শিশুর প্রাণ ঝড়ছে।

ইতালির বিমান থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলার ঘোষণা
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলা শুরু করবে ইতালি। শুক্রবার (১ আগস্ট) ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজা বর্তমানে দুর্ভিক্ষ পতিত হচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহত ৬২; ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেল ১৯ জনের
গাজায় গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই) ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেছে আরও ৬২ ফিলিস্তিনির। এর মধ্যে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি সেনার গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন।

গাজায় খাদ্য সংকট চরমে, একদিনে আরও ১০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
অনাহার ও অপুষ্টিতে একদিনে আরও ১০ ফিলিস্তিনির মৃত্যুতে যুদ্ধ শুরুর পর প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১ জনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও রেড ক্রিসেন্ট দুর্ভিক্ষের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করলেও নেতানিয়াহু প্রশাসন দায় চাপাচ্ছে হামাসের ওপর। এদিকে কাতারে যুদ্ধবিরতির জন্য আবারও ইসরাইলের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় বসেছে হামাস। ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে প্রস্তাবের জবাব। বুধবার (২৩ জুলাই) দিনভর ইসরাইলের হামলায় উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি।

গাজায় তীব্র দুর্ভিক্ষে একদিনে ১৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
গাজায় অনাহার ও অপুষ্টিতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি। যুদ্ধ শুরুর পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ জনে। জাতিসংঘ মহাসচিবের দাবি, উপত্যকার প্রতিটি দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্ভিক্ষ। ত্রাণ সরবরাহ স্বাভাবিক না করলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান। এদিকে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিনভর হামলায় উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৮১ ফিলিস্তিনি।

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইসরাইলের তাণ্ডব, নিহত ১১৬
যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে কাতারে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরাইল-হামাস পরোক্ষ আলোচনা চললেও গাজায় আগ্রাসনের মাত্রা এতটুকুও কমায়নি নেতানিয়াহু বাহিনী। বরং ৩৮ ক্ষুধার্তসহ শনিবার ১১৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এছাড়াও মাত্র ৩৫ দিন বয়সী এক শিশুসহ অনাহারে মারা গেছে দু'জন। আগ্রাসনে আহতদের চেয়ে খাবারের অভাবে অপুষ্টিতে ভোগা রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। এ অবস্থায় গাজাবাসী দুর্ভিক্ষের তীব্র ঝুঁকির মুখোমুখি বলে সতর্ক করেছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। আর ত্রণকেন্দ্রে চালানো ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।

ক্ষুধাকেও অস্ত্র বানিয়েছে ইসরাইল; দুর্ভিক্ষের মুখে গাজাবাসী
গাজাবাসীকে হত্যায় বুলেট-বোমা ছাড়াও ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইলি বাহিনী। মৃত্যুফাঁদে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রগুলো। এমনকি সাগরে গিয়েও মাছ ধরতে দিচ্ছে না ইসরাইলি সেনারা। এ অবস্থায় দুর্ভিক্ষের শঙ্কা প্রকোট হচ্ছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মৃত্যুর হাত থেকে পরিবার রক্ষায়, জীবন বাজি রেখে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছেন অনেক গাজাবাসী।

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ: খাদ্য সহায়তার নামে মৃত্যু ফাঁদ
গাজাবাসীকে হত্যায় বুলেট বোমা ছাড়াও ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইলি বাহিনী। মৃত্যু ফাঁদে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রগুলো। এমনকি সাগরে গিয়েও মাছ ধরতে দিচ্ছে না ইসরাইলি সেনারা। এ অবস্থায় দুর্ভিক্ষের শঙ্কা প্রকট হচ্ছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মৃত্যুর হাত থেকে পরিবার রক্ষায়, জীবন বাজি রেখে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছেন অনেক গাজাবাসী।