আজ (বুধবার, ২১ মে) সকালে ঢলুয়া ইউনিয়নের বড় খাজুরা গ্রামের একটি কলাবাগানে স্থানীয় এক কৃষক পচা গন্ধ পান। এসময়ে তিনি একটি অর্ধগলিত যুবকের মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খবর দেন। তারা এসে খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে বরগুনা মর্গে পাঠায়।
নাঈমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নাঈম মানসিক বিকারগ্রস্ত এবং মৃগী রোগী ছিলেন। এছাড়া তিনি অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি) রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
অপরদিকে আজ দুপুরে বরগুনা পৌরসভার পশু হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত সাবেক কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন খানের ভবনের তৃতীয় তলা থেকে সাহিদা আক্তার রোজী (৫৫) নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের গ্রামের বাড়ি বরগুনার ৯ নম্বর বালিয়াতলী ইউনিয়নের নলী মাইঠা গ্রামে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রোজী আক্তার ভাড়াটিয়া হিসেবে ভবনের তৃতীয় তলায় বাসা ভাড়া নেন। রোজী আক্তারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিন থেকে চার দিন ধরে রোজী আক্তারের মুঠোফোন বন্ধ ছিল।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাসায় এসে মালিকের সহযোগিতায় ঘরের তালা ভেঙে বাথরুমে মরদেহ পরে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন। পুলিশে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্বামী মোস্তফা খান বলেন, ‘রোজী কিছুদিন আগে বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে ব্যবসা করার উদ্দেশে টাকা এনেছিল। তার কাছে মোবাইল, স্বর্ণালংকার ছিল, যা ঘরে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়, তাকে হত্যা করে এসব লুট করা হয়েছে।’
বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জহুরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘নিহত দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’