এরআগে গত ১৫ আগস্ট রাতে জয় কুড়িসহ তিনজনকে আসামি করে নির্যাতিত ১৪ বছর বয়সী ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে রায়পুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে একটি মামলা করেন। মামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন জয় কুড়ি। ধর্ষণের ঘটনার পর রায়পুর বাজারে জয় কুড়িসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে দাবিতে আন্দোলনে নামে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন:
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় জয় কুড়ি ওই তরুণীকে তাদের বাসার সামনে থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে কক্সবাজার যায়। সেখানে তিনদিন রাখার পর লক্ষ্মীপুর শহরে একটি বাসায় চারদিন রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই তরুণীর কাছে মুসলিম পরিচয় দিলেও এক পর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন জয় কুড়ি হিন্দু সম্প্রদায়ের। তাকে বিয়ের জন্য কপালে সিঁদুর পরাতে গেলে তিনি তা বুঝতে পেরে চিৎকার দেন। পরে রায়পুর শহরের মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে ফেলে যাওয়া হয় তাকে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় জয় কুড়িসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন তরুণীর বাবা। মামলায় ওই তরুণীকে সাতদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।’
ওসি জানান, ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল অভিযুক্ত জয় কুড়ি। বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার জয় কুড়ি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে।