নয়া শুল্ক ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে জরুরি বৈঠক করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।
পরে বৈঠকের বিষয়বস্তু এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
তিনি জানান, মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিন দিনের আলোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মার্কিন বাজারে বাংলাদেশ শূন্য শুল্কে প্রবেশাধিকার আশা করে বলেও জানান উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আলোচনা যথেষ্ট এনগেজিং ছিল। প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করি এবং আমরা ২০১৫ সাল থেকেই তাদের শুল্ক-কর পরিশোধ করে ব্যবসা করি। তাই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব সক্ষমতার ভিত্তিতেই এ ব্যবসাটা করে থাকে। আমরা আশা করি আমাদের সক্ষমতা দিয়ে এবং যদি তুলনামূলকভাবে আমাদের সঙ্গে কোনো বৈষম্যমূলক অবস্থান না তৈরি হয়, তাহলে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় দেশটি চীনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে কোনো শর্ত আরোপ করবে কি না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বাণিজ্য উপদেষ্টা। এছাড়া ধারাবাহিক আলোচনায় শিগগিরই ইতিবাচক ফল আসবে বলে মনে করেন বাণিজ্য সচিব।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আশা করি আগামী ১ আগস্ট আমাদের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে যেহেতু তারাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং বার বার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে, তাই তাদের পদক্ষেপের বিষয়ে আমাদের আগাম কিছু জানা নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরকারের আলোচনায় সন্তুষ্টি জানান ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়টাতে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে নেগোসিয়েশন করা হচ্ছে এবং সব বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। এতটুকু আমরা বলতে পারি এবং আমরা সন্তুষ্ট।’
গেলো এপ্রিলে বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে পাল্টা শুল্ক আরোপের বিষয়টি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর প্রথমে ৩৭ শতাংশ ও পরে তা কিছুটা কমিয়ে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রশাসন, যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে। এতদিন ১৫ শতাংশ শুল্কে দেশটিতে পণ্য পাঠাতে পারতো বাংলাদেশ।