এদিকে, ভারী বৃষ্টি আর ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। এরই মধ্যে জেলার বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি, লংগদু ও রাঙামাটি সদর— এই ৫ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ১৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পানির উচ্চতাও। এতে দুর্যোগে কবলিত হয়ে পড়েছেন ২৩ হাজার ৭৯৮ জন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা ও উপজেলাগুলোতে কন্ট্রোলরুম স্থাপন ও ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৪৬ আশ্রয়কেন্দ্র।
আজ (সোমবার, ২ জুন) সকাল থেকে বৃষ্টিপাত হয়েছে তুলনামূলক কম। গতকাল রোববার রাত থেকে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে আসায় রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নে প্লাবিত ৬টি গ্রামের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে আবারো পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সাপছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীণ চাকমা ভাগ্য জানান, বৃষ্টি কমে আসায় ঢলে আসা পানি কমতে শুরু করেছে। আকস্মিক প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০০ পরিবার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা ঘরে ফিরতে শুরু করবেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। পাহাড় ধস কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন মানুষেরই যেন প্রাণহানি না হয়, আমরা সেটাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমাদের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাও সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। আপদকালীন পরিস্থিতির জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের জন্য ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যেই অনেকেই সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।’
এদিকে, উজানের পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া, ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।