ড. ইউনূস-তারেক বৈঠকে পাল্টে যেতে পারে রাজনীতির গতিপথ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি চেয়ারম্যান তারেক রহমান
রাজনীতি
বিশেষ প্রতিবেদন
0

তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠক শেষে কি নির্বাচনের তারিখ আগাবে নাকি এমন প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে তখন ঢাকার রাজনীতিবিদরা মনে করছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারের সাথে বিএনপি একমত হলে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হতে পারে নির্বাচন। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থেই এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক ফল জরুরি।

এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এমন ঘোষণার পরও রাজনীতির আকাশে পুরোপুরি কাটেনি কালো মেঘ। থেমে থেমে দেখা যায় প্রতিক্রিয়া। তবে ২/৩ দিন হলো সেটি গুমোট বেঁধেছে। এবার যেহেতু বিএনপির শীর্ষ নেতার সাথে সরকার প্রধানের সরাসরি আলাপ তাতে দলটির তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীরা প্রত্যাশা করছেন ইতিবাচক ফলাফলের।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আমরা মনে করছি বৈঠকটি ফলপ্রসূ হবে। এ বৈঠকের সাথে আস্থা, বিশ্বাস, সম্মান জড়িত। গণতান্ত্রিক যে আশা আকাঙ্ক্ষার দিকে তাইয়ে আছে তা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। সকল দল মিলে একটি উৎসবমুখর নির্বাচন করবো সেই প্রত্যাশায় আমরা আছি। নির্বাচনের মাঠে ও নেমে পড়েছি।’

এদিকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর দাবি, বৈঠকে আলোচনা যাই হোক, রাষ্ট্র পরিচালনার ২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিএনপি সরকারের সাথে একমত হলে দলটির দেয়া সময়েই হতে পারে নির্বাচন।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘এ বৈঠক যেমন ইতিবাচক তেমনি ফলপ্রসূ না হলে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী খারাপ ও হতে পারে। প্রফেসর ইউনূসের দুইটা বিষয় অস্বস্তি আছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় উনি দুই জায়গায় হোঁচট খেয়েছেন। একটা প্রেসিডেন্ট ও আরেকটা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জায়গায়। এই দুই জায়গায় যদি উনি বিএনপির সহযোগিতা পান তাহলে হয়তো তিনি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেয়ার ক্ষেত্রে উনি আগ্রহী হবেন।’

আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, দুই পক্ষের জন্য বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। ছাড় দিয়ে হলেও দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক ফলাফল জরুরি।

কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘দুই পক্ষের সদিচ্ছা আছে বলেই দুই পক্ষ বসছেন। সরকার উদ্যোগ নিয়েছেন যদিও তবে সুযোগ দুই পক্ষেরই আছে। তারা যদি আলোচনা করে একে অপরকে সহযোগিতা করে তাহলে দুই পক্ষেরই লাভ আছে। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য, গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য, আঞ্চলিকভাবে বার্তা দেয়ার জন্য, বৈশ্বিক রাজনীতিতে বার্তা দেয়ার জন্য যে প্রফেসর ইউনূস একা নন এবং বিএনপি প্রফেসর ইউনূসের বিরোধী নয় এই বার্তা দুই পক্ষেরই দেয়া উচিত।’

ইএ