জানা যায়, গেল ১০ আগস্ট বিকাশ থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা তুলে দুগিয়া যান রিজন তালুকদার। পরে আর তাকে খুঁজ পায়নি পরিবারের লোকজন। নিখোঁজের তিনদিন পর ১২ আগস্ট আটপাড়া উপজেলার মগড়া নদীতে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৪ আগস্ট অজ্ঞাত আসামি করে নেত্রকোণা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে আটক করলেও মূল আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার দাবি করে স্বজন ও সহকর্মীরা আন্দোলন করে যাচ্ছে।
নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘আমরা তথ্য বের করেছি। রিজনের সাথেই চলতো আওয়াল (৩৫) তাকে আটক করেছি গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট)। বুধবার (২০ আগস্ট) সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করলে তার থেকে তথ্য পাওয়া যাবে। আওয়াল ঘটনার দিন মোটরসাইকেলের পেছনে ছিলো। রফিকুল চালাচ্ছিলো। মাঝখানে রিজন ছিলো। আমরা সবকয়টাকে ধরার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন:
অন্যদিকে নিহতের স্বজনসহ বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল আসামি প্রভাবশালী এবং পরিচিত ডাকাত পরিবারের সন্তান হওয়ায় হওয়ায় পুলিশ আটক করতে পারছে না। বর্তমানে ওই ডাকাত পরিবারের বিভিন্ন সদস্য সরকারের নানা পর্যায়ে কর্মরত থাকায় তাদের পুরনো ডাকাতি ও খুনের মামলাগুলো থেকেও মুক্ত হয়ে যাচ্ছে পরিবারটি। পাশাপাশি তাদের কোনো ধরনের অপরাধ পুলিশ আমলে নিতে পারছে না বলে জানা যায়।