ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এখন যেহেতু আল-কুদস দখলকারী সন্ত্রাসী সরকার সব রেড লাইন অতিক্রম করেছে, তাই এ অপরাধের প্রতিক্রিয়া জানানোর কোনো সীমা নেই।’
এদিকে ইরানে কয়েক দফা হামলা চালানোর পর ‘প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে ইসরাইলের দিকে তেহরান থেকে প্রায় ১০০টি আক্রমণাত্মক ড্রোন পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব। ড্রোন হামলার আতঙ্কে এরই মধ্যে ইসরাইল জুড়ে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
ইসরাইলের দাবি, তারা ১০ দিনে হিজবুল্লাহর ওপর যা করেছিল, ইরানে তা মাত্র ১০ মিনিটে করেছে। ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ‘অপসারণের জন্য’ এই হামলা চালানোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে।
আরো পড়ুন:
জানা গেছে, ইসরাইল আরো দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা কমপক্ষে দুই সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। এর আগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীও হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছিলেন।
বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এরই মধ্যে ইসরাইলের নাগরিকদের প্রস্তুত থাকতে, খাবার কিনতে এবং আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকতে বলেছেন। কারণ, ইসরাইলে জরুরি অবস্থাও জারি হয়েছে।
কাতার-ভিত্তিক আল জাজিরা বলে, ‘ইসরাইলের আকাশসীমা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল এবং সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। সেনাবাহিনী উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং হাজার হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে সক্রিয় সামরিক দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।’
একেবারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ছাড়া আর কিছুই চালু থাকবে না বলে জানা গেছে। ফলে ইসরাইল কার্যত লকডাউন বা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আল জাজিরার প্রতিবেদনে।