বুধবার (১৮ জুন) রাতেও ইরানের হামলায় থমথমে পরিস্থিতি ইসরাইলজুড়ে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আলোয় ছেয়ে যায় তেল আবিব ও জেরুজালেমের আকাশ। মুহূর্তেই জরুরি সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে আইডিএফ।
শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে প্রায় ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান, যার মধ্যে ৪০টি মিসাইল ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ইসরাইল ভূ-খণ্ডে হামলা করতে সক্ষম হয়।
ইরানের হাতে ইসরাইলের ধ্বংস দেখে তেহরান জুড়ে চলছে বিজয় উল্লাস। দেশটির পতাকা হাতে রাতভর আনন্দ র্যালি করে কয়েক হাজার ইরানি। সেসময় ইরানের ধর্মীয় শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির আত্মসমর্পণ না করার সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন জানান তারা।
ইরানেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। গত ২৪ ঘণ্টায় তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে তিনবার হামলা চালায় দেশটি। হামলা করেছে ইরানের নিরাপত্তা সংস্থায়। এ ছাড়াও দেশটির খারাজ ও পেয়াম বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরাইলের পাশাপাশি ইরানে হামলা শুরু করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, এরই মধ্যে এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মূলত ইরানের নিউক্লিয়ার পাওয়ার হাউস ফোর্ডোতে আঘাত করতে চান ট্রাম্প। যেখানে রয়েছে পারমানবিক বোমা তৈরির বিপুল পরিমান ইউরেনিয়াম।
তবে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন খোদ মার্কিনিরা। এরই মধ্যে ইরানে ইসরাইলি হামলা বন্ধের দাবিতে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করছেন তারা।
মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে বড় দু’টি যুদ্ধ চলছে। এটি তাদের যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের নয়।’
আরেকজন বলেন, ‘যুদ্ধে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব। তেলের দর বেড়ে যাবে। খাবারের দর বেড়ে যাবে। বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।’
ইরান ও ইসরাইলে উত্তেজনাকর এ পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহসচিব আন্তনিও গুতেরেস।
বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। এ ছাড়াও শুক্রবার ইরান-ইসরাইল ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ অধিবেশন হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও চীনের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বৈঠক।