গাজা
গাজায় তীব্র দুর্ভিক্ষে একদিনে ১৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

গাজায় তীব্র দুর্ভিক্ষে একদিনে ১৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

গাজায় অনাহার ও অপুষ্টিতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি। যুদ্ধ শুরুর পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ জনে। জাতিসংঘ মহাসচিবের দাবি, উপত্যকার প্রতিটি দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্ভিক্ষ। ত্রাণ সরবরাহ স্বাভাবিক না করলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান। এদিকে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিনভর হামলায় উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৮১ ফিলিস্তিনি।

প্রথমবারের মতো দেইর আল-বালাহতে স্থল অভিযান শুরু করলো ইসরাইল

প্রথমবারের মতো দেইর আল-বালাহতে স্থল অভিযান শুরু করলো ইসরাইল

গাজার মধ্যাঞ্চল দেইর আল-বালাহতে প্রথমবারের মতো স্থল অভিযান শুরু করলো ইসরাইল। বিমান আর বোমা হামলায় কেঁপে উঠছে গোটা অঞ্চল। হামলার শিকার হয়েছে ডব্লিউএইচও-র কর্মীদের বাসভবনও। এদিকে ইসরাইলের হামলায় গতকাল (সোমবার, ২১ জুলাই) ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এতে উপত্যকাটিতে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৫৯ হাজার। গাজায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতিতে হতবাক জাতিসংঘ। অনাহারে, অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে শিশুরা। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ ২৮টি দেশ। তাদের মতে, উপত্যকাটিতে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

ত্রাণের খোঁজে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছে গাজাবাসী; এক দিনেই নিহত ১১৫

ত্রাণের খোঁজে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছে গাজাবাসী; এক দিনেই নিহত ১১৫

ক্ষুধা নিবারণের জন্য ত্রাণকেন্দ্রে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে গাজা উপত্যকার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। রোববার (২০ জুলাই) এক দিনেই ৯২ অনাহারীসহ ১১৫ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। একদিনে অনাহারে প্রাণ গেছে ১৯ জনের। এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণহানি ৫৮ হাজার ৯ শ' ছাড়িয়েছে। গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক ঢোকার অনুমতি দিতে ইসরাইলের প্রতি জোর আহ্বান জাতিসংঘের। এছাড়া বর্বর আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে পোপ চতুর্দশ লিও।

ত্রাণ নিয়ে গাজার পথে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের জাহাজ

ত্রাণ নিয়ে গাজার পথে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের জাহাজ

ম্যাডলিনের পর এবার ত্রাণ নিয়ে গাজার পথে ফ্লোটিলার নতুন জাহাজ ‘হান্দালা’। গতকাল (রোববার, ২০ জুলাই) দক্ষিণ ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন। এবারের বহরে স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গী হয়েছেন আইনজীবী, ডাক্তার ও সাংবাদিক।

গাজায় স্লোগানে স্লোগানে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ

গাজায় স্লোগানে স্লোগানে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ

প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপকে সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে নিষিদ্ধ করার পরও যুক্তরাজ্যে আরও বেশি তীব্র হচ্ছে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ। ধরপাকড় ও ১৪ বছরের কারাদণ্ডের ভয় উপেক্ষা করে স্লোগানে স্লোগানে জানাচ্ছেন গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ। এদিন প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপের অন্তত ৫৫ জনকে আটক করেছে লন্ডন পুলিশ। অথচ পাশেই পুলিশি পাহাড়ায় জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ইসরাইলিরা। এ অবস্থায় আটক অভিযানকে তোয়াক্কা না করে বৃষ্টিতে ভিজেও লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে ফিলিস্তিনপন্থিদের।

বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থামছে না গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন

বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থামছে না গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন

এবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এতোদিন নিশ্চুপ থাকলেও গাজায় নেতানিয়াহুর বর্বরতার প্রতিবাদে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আসছে ইসরাইলের ওপর। তবে আন্তর্জাতিক এসব চাপকে থোরাই কেয়ার করছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা এমনকি জাতিসংঘের চাপও থামাতে পারছে না গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইসরাইলের তাণ্ডব, নিহত ১১৬

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইসরাইলের তাণ্ডব, নিহত ১১৬

যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে কাতারে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরাইল-হামাস পরোক্ষ আলোচনা চললেও গাজায় আগ্রাসনের মাত্রা এতটুকুও কমায়নি নেতানিয়াহু বাহিনী। বরং ৩৮ ক্ষুধার্তসহ শনিবার ১১৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এছাড়াও মাত্র ৩৫ দিন বয়সী এক শিশুসহ অনাহারে মারা গেছে দু'জন। আগ্রাসনে আহতদের চেয়ে খাবারের অভাবে অপুষ্টিতে ভোগা রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। এ অবস্থায় গাজাবাসী দুর্ভিক্ষের তীব্র ঝুঁকির মুখোমুখি বলে সতর্ক করেছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। আর ত্রণকেন্দ্রে চালানো ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।

বিশ্বে গৃহহীন ৩০ কোটির বেশি; সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় গাজার মানুষ

বিশ্বে গৃহহীন ৩০ কোটির বেশি; সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় গাজার মানুষ

যুদ্ধ, সংঘাত, জলবায়ু সংকটসহ নানা কারণে বিশ্বে বাড়ছে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা। জাতিসংঘের মতে, বর্তমানে গৃহহীনদের সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়েছে। আর জনাকীর্ণ স্থানে বসবাস করা জনসংখ্যা অন্তত ২৮০ কোটি। এদের মধ্যে গাজার বাসিন্দাদের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। এসব জায়গায় রয়েছে খাবার, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, চিকিৎসা ও জ্বালানির মতো মৌলিক পরিষেবাগুলোর তীব্র সংকট।

ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে, অভিযোগ হামাসের

ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে, অভিযোগ হামাসের

গাজায় অবস্থানরত জিম্মিদের মুক্তিসহ যুদ্ধবিরতির চুক্তি ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটির দাবি, কোনো চুক্তি না হলে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত তারা। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করছেন, শিগগিরই আরও ১০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এদিকে, শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতভর ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরও ৫১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এরইমধ্যে ত্রাণ নিতে এসে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। অন্যদিকে, লেবাননের হিজবুল্লাহকে ট্রাম্প অস্ত্র সমর্পণের যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন সংগঠনটির প্রধান নাইম কাসেম।

গাজার ক্যাথলিক গির্জায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩; একদিনেই প্রাণহানি ৯৪

গাজার ক্যাথলিক গির্জায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩; একদিনেই প্রাণহানি ৯৪

গাজার একমাত্র ক্যাথলিক গির্জায়ও প্রাণঘাতি হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে ৩ জনসহ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) একদিনে প্রাণ গেছে ৯৪ জনের। গির্জায় চালানো হামলা ইসরাইলিদের ভুল ছিল বলে নেতানিয়াহু স্বীকার করেছে— এমনটা জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। ইউনিসেফ জানিয়েছে ইসরাইলি হামলায় গাজায় প্রতিদিন গড়ে প্রাণ যাচ্ছে ২৮ শিশুর। এদিকে এক জনমত জরিপের তথ্য বলছে, বেশিরভাগ ইসরাইলি মনে করেন এ যুদ্ধ থেকে ইসরাইলের কোনো লক্ষ্যই অর্জন হবে না।

ক্ষুধাকেও অস্ত্র বানিয়েছে ইসরাইল; দুর্ভিক্ষের মুখে গাজাবাসী

ক্ষুধাকেও অস্ত্র বানিয়েছে ইসরাইল; দুর্ভিক্ষের মুখে গাজাবাসী

গাজাবাসীকে হত্যায় বুলেট-বোমা ছাড়াও ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইলি বাহিনী। মৃত্যুফাঁদে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রগুলো। এমনকি সাগরে গিয়েও মাছ ধরতে দিচ্ছে না ইসরাইলি সেনারা। এ অবস্থায় দুর্ভিক্ষের শঙ্কা প্রকোট হচ্ছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মৃত্যুর হাত থেকে পরিবার রক্ষায়, জীবন বাজি রেখে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছেন অনেক গাজাবাসী।

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ: খাদ্য সহায়তার নামে মৃত্যু ফাঁদ

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ: খাদ্য সহায়তার নামে মৃত্যু ফাঁদ

গাজাবাসীকে হত্যায় বুলেট বোমা ছাড়াও ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইলি বাহিনী। মৃত্যু ফাঁদে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রগুলো। এমনকি সাগরে গিয়েও মাছ ধরতে দিচ্ছে না ইসরাইলি সেনারা। এ অবস্থায় দুর্ভিক্ষের শঙ্কা প্রকট হচ্ছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মৃত্যুর হাত থেকে পরিবার রক্ষায়, জীবন বাজি রেখে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছেন অনেক গাজাবাসী।