নোয়াখালীতে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ: গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালী
গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন
এখন জনপদে
অপরাধ
0

নোয়াখালীর পৌর এলাকায় স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাত থেকে আট যুবকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর স্বামী। বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল (রোববার, ২৫ আগস্ট) দুপুরে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভুক্তভোগী পা ভেঙে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গেল শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে সুবর্ণচরে শ্বশুরবাড়ি থেকে রাগ করে মাইজদী চলে আসেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। পরে ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে সেখানে গেলে পৌর বাজার এলাকায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় হানিফসহ দুজন তাদের ঝগড়ার সুযোগ নিয়ে বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে পৌর বাজারের পরিত্যক্ত একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়।

এসময় তার স্বামীকে আলাদা রুমে আটকে রাখা হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর স্বামী, তার মা ও ভাইকে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে আসেন তারাও। পরে তাদের সবাইকে আটকে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় হানিফ, কামরুল ও হামিদসহ বেশ কয়েকজন যুবক। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওই নারী দ্বিতীয় তলার ছাদ থেকে লাফ দেয়। পরে ওই নারীর পা ভেঙে গেলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পালিয়ে যায় অভিযুক্তরাও।

ভুক্তভোগী বলেন, ‘বাজার থেকে ওরা এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে আমাকে বন্দি করে। বন্দি করার পরই আমার গায়ে ওড়না থেকে সব খুলে ফেলে। পরে মিথ্যা কথা বলে অনেক কষ্ট করে রুম থেকে বের হয়েছি। ইজ্জত বাঁচানোর জন্য কোথায় থেকে লাফ দিছি আমি তাকাইওনি কোথায় লাফ দিয়েছি।’

ঘটনা জানাজানি হলে বাজার কমিটি থেকে ডাকা হয় মিটিং। এসময় হানিফ ও কামরুলকে কৌশলে মিটিংয়ে নিয়ে আসা হলে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পৌর বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম মুক্তা বলেন, ‘আমি আমার মতো করে লোকজন সেট করছি এরা বাজারে আসলে আটক করার জন্য। এর মধ্যে আমি একটা ফাঁদ পাতছি যেন এদের ধরা যায়। আমি আসছি, এসে আপনাদের (সাংবাদিকদের) খবর দিছি, পুলিশে খবর দিছি।’

ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় রোববার রাত ১১টার দিকে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এসময় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন:

নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে স্বামী-স্ত্রীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়, এর মধ্যে দুই থেকে তিনজন লোক সে বলে যে উপরে তাদের নিয়ে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিষয়টা সমাধান করে দেবে। তখন তাদের কথা শুনে এ দুইজন তাদের সঙ্গে মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় যায়। এরা কৌশলে স্বামীকে অন্য রুমে ঢুকিয়ে ফেলে। আর নারীকে অন্য রুমে নিয়ে গিয়ে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ওই নারী ওখান থেকে বাঁচার জন্য লাফ দিয়ে পড়ে আহত হয়। এ বিষয়ে এজহার প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

এদিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আট বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনতা। এছাড়াও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এসএস