শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা খানেক আগে থেকেই কেন্দ্রের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে খুলে দেয়া হয় প্রধান ফটক। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং নিয়মকানুন মেনে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বোর্ডে এবারে ৩০৭টি কলেজ থেকে পরিক্ষায় অংশ নিয়েছে এক লাখের বেশি পরীক্ষার্থী, যা গেলো বছরের তুলনায় কম প্রায় চার হাজার। ডেঙ্গু ও করোনা সচেতনতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয় বাড়তি সতর্কতা।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। পরীক্ষা শেষে লিখিত পরীক্ষা কঠিন হওয়ার কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘পরীক্ষা সহজ ও ঠিকঠাক ছিল। পরিবেশ এবং প্রশ্নপত্রও ভালো ছিল, শিক্ষকরা অত বেশি স্ট্রিক্ট ছিল না।’
বরিশাল বোর্ডের অধীনে ১৪৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। গত বছর অটোপাশ থাকার কারণে অনেক অনিয়মিত শিক্ষার্থী পাস করায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
তবে এ বছর বরিশাল বিভাগজুড়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ায় কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয় বাড়তি সতর্কতা। পরীক্ষা শেষে প্রশ্নের মান ও পরীক্ষা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘প্রশ্নপত্রের মান ভালো হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হলও ভালো ছিল।’
গত কয়েকবছরে বন্যার ভোগান্তি থাকলেও এবার নির্বিঘ্নে সিলেট বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৬৯ হাজার শিক্ষার্থী। এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ১৩ হাজার ৪৮২ জন। শিক্ষার্থী কমার মূল কারণ হিসেবে অভিভাবকদের অসেচতনতা ও প্রবাসে চলে যাওয়াকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষকরা।
যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হয় ময়মনসিংহের ৪ বিভাগের ১০৬টি কেন্দ্রে। যেখানে ছাত্র ৩৭ হাজার ৩৩৭ জন এবং ছাত্রী ৪১ হাজার ৬৫৭ জন।
তবে গেল বছরের তুলনায় ৬০০ শিক্ষার্থী বেড়েছে এই বোর্ডে। প্রথম দিনের লিখিত পরিক্ষায় নিয়ে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করলেও এমসিকিউ পরীক্ষা কঠিন হয়েছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষানগরী রাজশাহীতে এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় সংখ্যায় সাড়ে ৪ হাজার বেশি।
প্রশ্ন অনেক সহজ ছিল জানিয়ে একজন শিক্ষার্থী জানান, তাদের প্রত্যাশার থেকেও বেশি ভালো হয়েছে পরীক্ষা।
এদিকে আগের বছরের তুলনায় ৬ হাজার কম শিক্ষার্থী নিয়ে শেষ হয়েছে যশোর বোর্ডের প্রথম দিনের পরীক্ষা। এবারে ৫৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ২৪০টি কেন্দ্রে।